এ মাসেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলার তদন্ত শেষ করতে চায় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। তবে বিচার নিযে কোনো তাড়াহুড়ো করতে চায় না তারা। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলো বিচার নিয়ে দাবি দাওয়া করতেই পারে তবে ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাইরের কোনো চাপ আমলে নেয়া হবে না।
বুধবার (৫ মার্চ) ট্রাইব্যুনালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম ও কূটনৈতিক জন ড্যানিলোভিজ সকালে ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তারা বিচারের বর্তমান অগ্রগতি ও সার্বিক খোঁজখবর নেন।
জুলাই আগস্টের গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে নতুন করে আলোচনায় চলছে দেশের রাজনীতিতে। শেখ হাসিনাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর আগে দেশে কোনো নির্বাচন নয়, বিশেষ করে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া তরুণদের দলের একজন নেতার এমন বক্তব্যর পর এ বিতর্ক শুরু হয়।
শেখ হাসিনার বিচার ইস্যুতে রাজনৈতিক নেতাদের মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনার মামলার বিচার নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো করা হবে না।’
রাজনৈতিক দলগুলোকেও এ নিয়ে চাপ না দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা কঠিন প্রক্রিয়া, কেউ বাড়তি চাপ দেবেন না।’
এদিন ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ পরিদর্শনে আসেন সাবেক মার্কিন দুই কুটনীতিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যানও।
এরপর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিচারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।’
এদিন গাজীপুরে হৃদয় হত্যার মামলায় পুলিশের সাবেক ৫ কর্মকর্তাকে ফের কারাগারে পাঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে ১৫ জুন।