19 C
Dhaka
Wednesday, December 18, 2024

কোন পথে যাচ্ছে বিশ্ব রাজনীতি?

- Advertisement -

আপনি যদি রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে থাকেন, তবে এই সময়টা কিছুটা হলেও উপভোগ করার কথা। সারা বিশ্বেই এমন কিছু ঘটছে, যা নিয়ে ভাবতে গেলে কিছুটা হলেও বেগ পেতেই হবে।

এ কথা সত্য, সৌদি আরব একটা লম্বা সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ছিলো। এতটাই ঘনিষ্ঠ, দেশটিতে নারীদের রেসলিং পর্যন্ত আয়োজন করা হয়েছে। এমনকি যখন হাজীরা হজ্ব পালন করতে মক্কা মদীনায় আসছেন, সে সময়েও রেসলিং এর বড় কোম্পানি WWE এর একটি স্পেশাল শো রাখা হয়েছে।

কিন্তু, সবশেষ দুই চারদিনের অবস্থা যদি লক্ষ্য করা হয়, তাহলে এই কথা বলতেই হবে, সৌদি এবং মার্কিন সম্পর্ক কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে।

মাসকয়েক আগেই চীনের মধ্যস্থতায় নিজেদের মাঝে সব ধরণের তিক্ততার অবসান ঘটিয়েছে ইরান এবং সৌদি আরব। সেই ইরান, যাদের সাথে গত তিন দশক ধরে বৈরি সম্পর্ক চলছে যুক্তরাষ্ট্রের।

ইরান এবং সৌদি আরবের এই শান্তিচুক্তি অনেক বড় কিছু দ্বন্দের “রাজনৈতিক” অবসান ঘটাচ্ছে। শিয়া-সুন্নির মধ্যে চলমান বৈরিতা অবসান করতে এমন এক সন্ধির প্রয়োজন ছিলো। ধর্মীয় দিক থেকে তা পুরোপুরি অসম্ভব। তবে রাজনৈতিক দিক থেকে এই সন্ধি যে অত্যন্ত কাজের তা এরইমাঝে বুঝে গিয়েছেন সবাই।

ইরান এবং সৌদি আরবের শান্তিচুক্তির পরপরই ইয়েমেনে যুদ্ধ শেষের ঘোষণা এসেছে। সৌদি আরব নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে। হুতি বিদ্রোহীরাও মেনে নিয়েছেন শান্তির বার্তা। বাকি আছে কেবল সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা।

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা ছিল সম্ভবত সিরিয়ার প্রত্যাবর্তন। দেশটিতে প্রায় এক দশক ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। আরব লীগ থেকেও বহিস্কার হয়েছিলো তারা। কিন্তু সেই পাশার দান উলটে গিয়েছে। সিরিয়া ফিরেছে আরব লীগে।

শুধু তাইই নয়, সেই একই বৈঠকের পর সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান জানিয়ে দিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের এই অঞ্চলকে আর কারও রাজনৈতিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হতে দিচ্ছেন না তারা।

ঠিক কাকে উদ্দেশ্য করে এই কথা বলা হয়েছে, তা স্পষ্ট করা না হলেও, কথাটা যে যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই ইঙ্গিত করা হচ্ছে তা সকলেই জানেন।

বড় কথা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প তাহলে কে? উত্তরটা একেবারেই সহজ। শি জিন পিংয়ের দেশ চীন। শেষ কয়েক বছর ধরেই নিজের দেশের ইমেজ বাড়ানোর কাজ করে চলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। সেই দৌড়ে অনেকটা সফলও বলা চলে তাকে।

চীনের এমন সফলতার পেছনে বাণিজ্যিক কারণটাকেই বড় করে দেখা যায়। চীনের বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক পরিকল্পনা যেকোন দেশের জন্যই বেশ বড় সুযোগ। সেই দিক বিবেচনায় কিছুটা হলেও এখন বিপাকে আছে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটিতে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকসহ কয়েক ব্যাংক যেমন বিলুপ্ত হয়েছে। তেমনি আছে বড় রকমের ঋণের চাপ।
শুনতে অবাক লাগলেও একথা সত্য। শুধুমাত্র ঋণের চাপ কমানোর উদ্দেশ্যেই জি-৭ বৈঠকের পর কোয়াড এর সম্মেলনে যাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তাই একথা এখন বলতেই হয়, আপনি যদি রাজনীতি সচেতন হয়ে থাকেন, তবে চোখ কান খোলা রাখুন। বিশ্ব রাজনীতি এমন পরিস্থিতি দেখেনি বহুদিন।

- Advertisement -
ফেস দ্যা পিপল লাইভ টক শো উইথ সাইফুর সাগর
Video thumbnail
গুমের শিকার ইউপিডিএফ নেতা মাইকেল চাকমার অভিযোগ: ‘প্রধান অভিযুক্ত খু*নি হাসিনা’!
02:25
Video thumbnail
এবার ভারতীয় মিডিয়া রিপাবলিক টিভির ময়ূখকে এক হাত নিলেন ভারতীয় সাংবাদিক দীপক ব্যাপারী
13:50
Video thumbnail
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের উ*গ্র* তা ও ভয়া *বহ হা ম *লা পরিকল্পিত! নেপথ্যে বেরিয়ে আসছে যাদের নাম !
05:15
Video thumbnail
সাদপন্থীদের উ *গ্র *তা ও ভয়া৮*বহ হা *ম *লা পরিকল্পিত
08:00
Video thumbnail
শিক্ষার্থীদের বি ব স্ত্র করে ভিডিও ভাইরাল করার হু*ম*কি দিতো রিভা!
03:59
Video thumbnail
সা’দপন্থীদের হাতে আ'ট'ক আ'ক্র'ম'ণকারীদের ৩০/৪০ জন! আ'ক্র'ম'ণকারীরা আসলে কোন পন্থী?
14:21
Video thumbnail
ইজতেমা ময়দানের সং'ঘ'র্ষে হাসনাত-সারজিসের সম্পৃক্ততা নিয়ে দুই পক্ষ ফেস দ্যা পিপলে যা জানিয়েছে
10:42
Video thumbnail
টঙ্গী তে ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত ঘটনার বাস্তবতা বর্নণা করছেন সারজিস আলম।
05:51
Video thumbnail
ইজতেমার মাঠ নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ! প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘে'রাও নিয়ে প্রশ্নের মুখে সা’দপন্থী মুয়াজ নূর
08:16
Video thumbnail
ওবায়দুল কাদের কার প্রটোকলে ছিল? ভারত নিয়ে চা'ঞ্চ'ল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেন মানবাধিকার কর্মী পলাশ
13:23

সর্বশেষ

আমাদের সাথে সংযুক্ত হোন

1,600,000FansLike
428FollowersFollow
1,270,000SubscribersSubscribe