ক্রিকেট বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়ে চলে গেলেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক। ক্যান্সারের কাছে হার মেনে ৪৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটটার চলে গেলেন না ফেরার দেশে। দীর্ঘদিন এই মরণব্যাধি তার শরীরে বাসা বাঁধলেও চলতি বছরের মে মাসে প্রকাশ পায় ক্যান্সারের খবর। তখনই ডাক্তারের পক্ষ থেকে জানা যায় হিথ স্ট্রিকের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠলেন না তিনি।
২২ আগস্ট (মঙ্গলবার) দক্ষিণ আফ্রিকায় মৃত্যু হয় তার। বুধবার (২৩ আগস্ট) সকালে হিথ স্ট্রিকের সাবেক সতীর্থ হেনরি ওলেঙ্গা প্রথম নিশ্চিত করেন তার মৃত্যুর খবর। সেখানেই তার লিভার এবং কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছিল। শেষ সময়ে তার পাশে ছিল পরিবার এবং কাছের বন্ধুরা।
সাবেক এ ফাস্ট বোলার ছিলেন জিম্বাবুয়ের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটারদের একজন এবং তিনি তার দেশের প্রথম খেলোয়াড় যিনি ১০০ উইকেট লাভ করেছিলেন।
জিম্বাবুয়ের সাবেক এই পেস বোলার বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গেও কাজ করেছেন লম্বা সময় ধরে। আফ্রিকান দেশটির সর্বকালের সেরা বোলার তিনি। জিম্বাবুয়ের হয়ে ১০০ উইকেট শিকার করা প্রথম বোলার তিনি। দেশটির হয়ে টেস্টে ২০০ উইকেট শিকার করা একমাত্র বোলার স্ট্রিক। এমনকি তাদের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সপ্তম স্থানে আছে তার নাম।
জিম্বাবুয়ের জার্সিতে ১৮৯ ওয়ানডে ও ৬৫ টেস্ট খেলেছেন হিথ স্ট্রিক। ৬৫ টেস্টে ২১৬ উইকেটের পাশাপাশি ১৯৯০ রান করেছেন তিনি। আর ওয়ানডে ফরম্যাটে দুই হাজার ৯৪৩ রানের পাশাপাশি শিকার করেছেন ২৩৯ উইকেট। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলেন তিনি।
২০০৫ সালে ক্রিকেট থেকে অবসরে যান তিনি। এরপর যুক্ত হয়েছিলেন কোচিং পেশার সঙ্গে। ২০১৪ সালের মে মাসে টাইগারদের বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোস্তাফিজ-রুবেলদের বোলিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
যদিও কিংবদন্তি এই অলরাউন্ডারের শেষটা সুখকর ছিল না। একাধিক লিগে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। হিথ স্ট্রিক নিষেধাজ্ঞা মেনে নিলেও নিজের ওপর আসা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছিলেন বারবার।