ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বহিরাগতরা প্রবেশ করে ভাঙচুরের চালানোর প্রতিবাদে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিক্ষোভ মিছিল করবে রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন। পাশাপাশি কলেজ ক্যাম্পাস ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
একইসাথে সোমবারকে ‘মেগা মানডে’ ঘোষণা করেছেন এ দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সকাল ৯টায় কলেজের প্রধান ফটকের সামনে সকল শিক্ষার্থীকে জড়ো হওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এর আগে গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতিতে বন্ধুর মৃত্যুর অভিযোগে রোববার দফায়-দফায় সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থীরা। মেডিকেল ঘেরাও কর্মসূচি পরে রূপ নেয় সংঘর্ষে।
এ সময়, হাসপাতালটির পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজেও ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তাদের ভূমিকা নিস্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার দুপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে দলে-দলে আসতে থাকে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
তাদের অভিযোগ, ডা. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিতের চিকিৎসায় গাফিলতি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে সোমবার মৃত্যু ঘটে অভিজিতের। ওই ঘটনার বিচার চাইতে হাসপাতাল ঘেরাও ও ভাঙচুর করে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা।
এক পর্যায়ে হাসপাতালের মূল ফটক ছেড়ে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের দিকে এগিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। মৃত্যুর বিচার চেয়ে হাসপাতাল ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রূপ নেয় কলেজে হামলায়।
এর আগে দুই দফা অবস্থান নিলেও ন্যাশনাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিল।
প্রায় ৩ ঘণ্টা পর প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে দিলে সেখানে জড়ো হতে থাকেন কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। হামলা-ভাঙচুরের পাশাপাশি অর্থ লুটপাটের অভিযোগ করেন দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ শুরু থেকেই উপস্থিত থাকলেও সংঘর্ষ ঠেকাতে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তবে পুলিশ থাকলেও হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে তারা অবগত নন বলে জানান লালবাগ জোনের পুলিশ কর্মকর্তা।
দুই কলেজের পাশাপাশি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ভেতরেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।