খাদ্যের অপচয় রোধে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, চাল চিকন করতে গিয়ে ছাটাই করে চালের অপচয় করা হচ্ছে। এতে পুষ্টিমানও কমে যাচ্ছে। জনসাধারণকে পুষ্টি সমৃদ্ধ চাল খাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যের অপচয় রোধে সতর্ক থাকতে হবে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের হালিশহরে সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপোর (সিএসডি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন জুড়ি থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। দেশে এখন মঙ্গা নেই। এখন আমরা পুষ্টি নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি।
সরকারি খাদ্য গুদামে চুক্তি করেও যারা চাল সরবরাহ করেনি তাদের কমপক্ষে এক বছর শাস্তির কথা উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, তারপর তাদের সঙ্গে সরকার আবার চুক্তি করবে। এরপরও যদি তারা সরকারি গুদামে চাল না দেয় তাহলে ধান চালের ব্যবসা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, সরকারকে চাল দিয়ে সাহায্য করা মিল মালিক আর না দিয়ে অসহযোগিতা করা মিল মালিকদের এক কাতারে আমরা মূল্যায়ন করতে চাই না।
তিনি বলেন, খাদ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারিদের নিরলস পরিশ্রমে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরষ্কার অর্জন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারিদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে অর্জিত সুনাম ধরে রাখার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.সাখাওয়াত হোসেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খুরশীদ ইকবাল রেজভী, বিভাগীয় সড়ক পরিবহণ ঠিকাদারের (ডিআরটিসি) সভাপতি মাহমুদুল হাসান, শ্রমিক ঠিকাদার সমিতির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, চট্টগ্রাম চালকল মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, হালিশহর সিএসডির ব্যবস্থাপক প্রণয়ন চাকমা এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জহিরুল ইসলাম প্রমুখ ।
এছাড়া মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম সিএসডির কর্মকর্তারা, চালকল মালিক সমিতির নেতারা ও শ্রমিক সমিতির নেতারা অংশ নেন।