ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা ও সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল ইসরায়েল। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে সেখান থেকে কিছুটা সরে এসেছে ইহুদিবাদী দেশটি। তবে এখনও ঝুঁকির মাঝেই আছেন আলি খামেনি।
তবে মিত্রদেশের সর্বোচ্চ নেতার এমন ঝুঁকি প্রসঙ্গে কোনো কথা বলতে চান না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইরানের জনগণ এখনও দেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল বলেও মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে বলেছেন, ইসরায়েলের অভিযানের জেরে ইরানের সরকার পরিবর্তন ঘটতে পারে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, খামেনির পরিণতি হবে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের মতো।
এমনসব বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকরা পুতিনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পুতিন বলেন, “আমি এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চাই না। একদমই চাই না।”

বুধবার রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়া ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। সেখানেই এসব কথা বলেন ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, “আমি শুধু বলব—আমরা চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি যে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার নানা জটিলতা থাকা সত্ত্বেও ইরানের সাধারণ জনগণ তাদের নেতৃত্বের চারপাশে জড়ো হচ্ছে, ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। তারা তাদের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল।”
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল ইরানের সরকার পরিবর্তন করতে পারবে কি না— এমন প্রশ্নের উত্তরে পুতিন বলেন, ইসরায়েলের হামলার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু প্রকল্প ধ্বংস করা, সরকার পতন নয়।
এসময় তিনি জানান, “ইরানের ভূগর্ভস্থ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানতে পারেনি ইসরায়েল। সেগুলো এখনও অক্ষত আছে। আমার মনে হয়, এই সংঘাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই উচিত শত্রুতা বন্ধ করে পরস্পরের সঙ্গে সমঝোতায় আসা… এবং আমার মতে, সব পক্ষের যদি সদিচ্ছা থাকে— তাহলে এটি সম্ভব।”