বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে পাঠানোর দাবিতে আন্দোলনও করছে দলটির নেতাকর্মীরা। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এ মুহূর্তে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি তিনি। এরই মধ্যে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর আবেদনের একটি কপি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।
খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘বেগম জিয়ার জীবন রক্ষার্থে ও তার শারীরিক সক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে উন্নত ফিজিওথেরাপিসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে দেশের বাইরে ‘অ্যাডভান্স মেডিকেল সেন্টারে’ চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। এমতাবস্থায়, সব শর্ত শিথিলপূর্বক তাকে স্থায়ীভাবে মুক্তি এবং বিদেশ গমনের অনুমতি দেয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ আবেদনপত্রটি প্রকাশ্যে এনেছেন।
বেগম জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দারের আবেদনের চিঠিতে ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখ উল্লেখ আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এটি ৫ সেপ্টেম্বর পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।
খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে সপ্তম বার বর্ধিত মুক্তির মেয়াদ শেষ হয় রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর)। এর আগেই তার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়।
এদিকে অষ্টমবারের মতো বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শর্ত দুটি হল- খালেদা জিয়া আগের মতোই ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। এই সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।