বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
আমির খসরু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোনোভাবেই আপস করবেন না। তাই দায়িত্ব নিয়ে দেশের বাইরে তার চিকিৎসা করান। না করলে দেশের মানুষের মুখোমুখি হতে হবে। সময় থাকতে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। সেই উদ্যোগ আপনাদের নিতে হবে। সময় নষ্ট করবেন না। দেশের প্রত্যেকটা মানুষ ঘণ্টা ও দিন গুনছে কখন বেগম জিয়া চিকিৎসার জন্য বাইরে যাবেন। তাই সময় নষ্ট করবেন না। বিদায় হওয়ার আগে একটা ভালো কিছু করে যান। বেগম জিয়াকে মুক্তি দিন।
সমাবেশে সাবেক ও বর্তমান আমলাদের মিটিংয়ের প্রসঙ্গ টেনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, মিটিংয়ে তারা বলছেন- আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে হবে। আর বিভিন্ন কুঞ্জে কুঞ্জে বর্তমান আমলা ও পুলিশরা মিটিং করছেন। বলছেন, খুন করে হলেও বিএনপির আন্দোলনকে দমন করতে হবে। বিশঙ্খলা ঠেকানোর জন্য বলছেন। কিন্তু আমরা বিএনপি বিশৃঙ্খলা করি না।
দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মৌলিক অধিকার চিকিৎসা পাওয়া। কিন্তু তিনি চিকিৎসা পান না। তিনি জামিন পাওয়ার যোগ্য। এ ধরনের মামলায় দৃষ্টান্ত হাজার হাজার আছে। কিন্তু তিনি জামিন পান না। এটার জবাব আজ হোক কাল হোক তাদেরকে দিতেই হবে।
তিনি বলেন, এখন থেকে আমাদের আন্দোলন ডু অর ডাই। এর মাঝামাঝি আর ঠাঁই নাই। গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে হবে। এখন থেকে পিছু হটার সময় নেই। পিছনে জায়গা নাই। সামনে যেতে হবে। গুলি খেতে হবে। মরতে হয় মরতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারকে দেশ থেকে হঠাতে হবে। না হলে দেশ বাঁচবে না। এখন থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাসা ঘেরাও করতে পারি বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন গয়েশ্বর রায়।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, বেগম জিয়াকে এই সরকার ভয় পায়। তার কি অপরাধ? তার অপরাধ দেশের মানুষ তাকে ভালোবাসে এবং তিনি গণতন্ত্রকে ভালোবাসেন এবং গণতন্ত্রের কথা বলেন। কি অপরাধ, তিনি যতবার নির্বাচন করেছেন ততবারই নির্বাচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অবস্থায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে বিএনপিকে ধ্বংস করতে চায়। সেই কারণে তারা মনে করছে, বেগম জিয়াকে আটক করে রাখলে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে। কিন্তু এটা সম্ভব নয়।