বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নাইকো দুর্নীতি মামলায় আসামি করা হয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন আদালত। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম রায়ের পর্যবেক্ষণে এই মন্তব্য করেন এবং মামলায় খালেদা জিয়াসহ আটজনকে খালাস দেন। আদালত আরও বলেন, খালেদা জিয়া কোনও দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত জানান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়েই নাইকো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়। এরপর খালেদা জিয়া সরকার গঠন করলে সেই চুক্তি বলবৎ রাখেন। এক এগারো সরকারের সময়ে নাইকোর দুর্নীতি নিয়ে শেখ হাসিনার নামে একটি মামলা করা হয়, পরে খালেদা জিয়ার নামও মামলা সংযুক্ত করা হয়। তবে শেখ হাসিনা সরকার সেই মামলায় খালাস পেলে, পরবর্তীতে রাজনৈতিকভাবে খালেদা জিয়াকে হয়রানি করার জন্য একই মামলাটি চালানো হয়।
এছাড়া, মামলার অন্যতম আসামি সেলিম ভূঁইয়ার বিষয়ে আদালত বলেন, তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে রেখে জোর করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়।
আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে রায়ে খালাসের আবেদন করেছিলেন। বিশেষ করে, খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম খালেদা জিয়া ও অন্যদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করেছিলেন।