খালেদা জিয়ার শাসনামলে ১০ বছর নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি। বিকৃত ইতিহাস রেডিও টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এদেশের যা কিছু অর্জন তা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
রবিবার (১৪ আগস্ট) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিএনপি পাকিস্তানের সঙ্গে একটা কনফেডারেশন করার চেষ্টা করেছে মন্তব্য করে আমির হোসেন আমু বলেন, তারা জাতীয় চার মূলনীতি বনবাসে পাঠিয়েছিল, তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দুই একটি জায়গায় কিছুটা অসংগতি, অসম্পূর্ণতা রয়েছে, এটা অস্বীকার করা যাবে না। এই অসম্পূর্ণতার কারণটা আমাদের বুঝতে হবে।
এ সভায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি, বিয়োগান্তক ঘটনা। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। খুনিরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে শারীরিকভাবেই হত্যা করেনি, খুনিরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আত্মাকেই হত্যা করে পাকিস্তানি আত্মাকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দেহে প্রতিস্থাপন করতে চেয়েছিল। তাই খুনিরা সংবিধান থেকে চার নীতি মুছে ফেলে।
তিনি বলেন, ইতিহাসের ভাগাড় থেকে কুখ্যাত দ্বি-জাতিতত্ত্ব, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা তুলে এনে রাষ্ট্র ও সমাজে সাম্প্রদায়িকতার বিষ-বাষ্প ছড়িয়ে দিয়েছিল।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, বাসদের (খাজা) আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খাজা, জাসদের সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার, সহ-সভাপতি বীর-মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা প্রমুখ এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন৷