সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান বাংলাদেশ ক্রিকেটের তারকা সাকিব আল হাসান। এরপর থেকেই আলোচনায় আসেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ। আলোচিত সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান পুলিশ খুনের মামলার আসামি।এদিকে আরাভ খান দাবি করেছেন, তিনি খুনের সঙ্গে জড়িত না।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন আরাভ খান। লাইভে তিনি খুনের সঙ্গে জড়িত নয় দাবি করে বলেন, আমি খুনের সঙ্গে জড়িত না। ওই দিন আমি ছিলাম না। মামলায় আমার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ আনা হয়েছে। সেটা যদি আমার অপরাধ হয়, আমি কথা বলেছি, গুমের সঙ্গে আমি জড়িত। সেই শাস্তি আমি মাথা পেতে নেব।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বনানীতে আমার অফিস ছিল। আপন বিল্ডার্স নামে আমার রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা ছিল। আমি সেদিন বাসায় ভাত খাচ্ছিলাম। আমার সহকারী অফিসে খুনের বিষয়টি ফোনে জানায়। যিনি খুন হয়েছিলেন তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা। সেটি একটি দুর্ঘটনা ছিল। আমার অপরাধ ছিল আমি ওই অফিসের মালিক। সেদিন জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। কেক কাটাকাটির নিয়ে ওই ঘটনা ঘটে।
আমার আমেরিকান গ্রিন কার্ড আছে উল্লেখ করে আরাভ বলেন, কানাডিয়ান পাসপোর্ট আছে। কই আমি তো চলে যাইনি। অনেকে আমাকে চলে যেতে বলেন। আমি খুনের সঙ্গে জড়িত না। জড়িত থাকলে পালিয়ে যেতাম। আমার অফিসে খুন হয়েছে। এ কারণে বিচার হলে আমি মাথা পেতে নেব।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি ফ্ল্যাটে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। তাকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ভারতে পালিয়ে যান।
২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল গোয়েন্দা পুলিশ রবিউলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। পুলিশ হত্যার মামলায় রবিউলের ভাড়া করা এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করে ৯ মাস জেল খেটে বের হন।
২০২০ সালে রবিউল ভারতীয় পাসপোর্ট পান। যাতে তার নাম বদলে লেখা হয় ‘আরাভ খান’। সেখান থেকে চলে যান দুবাই।
২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আরব আমিরাত সরকার তাকে রেসিডেন্ট পারমিট দেয়। রবিউল এখন সেখানেই আছেন, জুয়েলারি ব্যবসা করছেন।
বুধবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ‘আরাভ জুয়েলার্স’ উদ্বোধন করা হয়।