খুলনায় বিএনপির পূর্বঘোষিত সমাবেশে আগত নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে প্রেসক্লাব এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (১৯ মে) বিকেল ৪টায় সমাবেশস্থল খুলনা প্রেসক্লাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস ছোড়ে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন অভিযোগ করে বলেন, সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেফতার বন্ধ, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের আহ্বান করে বিএনপি। সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল সহকারে আগত নেতা-কর্মীদের পুলিশ বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সমাবেশ লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি, টিয়ারগ্যাস ও লাঠিচার্জ শুরু করলে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় সমাবেশস্থল ও আশপাশে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
দলীয় কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। হঠাৎ করে টিয়ারশেল-গুলি নিক্ষেপ করা হয়েছে। বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমাদের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার আছে সভা-সমাবেশ করার। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা কেন আসবে?’
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (সাউথ) মো: তাজুল ইসলাম বলেন, খুলনা প্রেসক্লাবে সমাবেশ শুরুর সাথে সাথে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আসার পর রাস্তা বন্ধ করে প্রোগ্রাম শুরু করে। এ সময় আমরা পেছনে সরে গেলে উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মী আমাদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। আমরা বাধ্য হয়ে টিয়ারসেল এবং গ্যাসগান নিক্ষেপ করি। এ পর্যন্ত আমরা ১০ জনকে আটক করেছি। আমাদের বেশ কিছু সদস্য আহত হয়েছে।