নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমান বলেছেন, খোদার কসম খেয়ে বলছি বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না।
আজ শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে ফতুল্লায় চৌধুরীবাড়ি মাঠে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, খোঁচাখুচি করবেন না। জনগণের কাছে যান। জনগণ গ্রহণ করলে আমাদের কিছু করার নেই। খোঁচাখুচি করলে টিকতে পারবেন না। পুলিশকেও রাস্তায় নামতে দেব না। জনগণকে নিয়ে রাস্তায় নামব। বাইরের দেশ নাক গলাতে চাইছে। শেখ হাসিনা বাপের বেটি। ডাইরেক্ট জবাব দিয়ে দিয়েছে। আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ।
এই দেশটাকে আগামী তিন মাসের মধ্যে অকার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। গোলামির রক্ত এখনো অনেকে শরীরে বইছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সকলেই সমস্যায় পড়তে পারে। তবে আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকারই ক্ষমতায় আসবে।
ডিএনডির জলবদ্ধতা দুরীকরণে স্থানীয়দের উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার আগে তিনি মঞ্চ থেকে নেমে ময়লা ও নোংরা হাটু সমান পানি মাড়িয়ে লালপু-পৌষাপুকুর পাড়বাসীর দুর্দশা সরজমিনে দেখে আসেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমি আজকে ফতুল্লার মাটিতে দাড়িয়ে আছি। আমি নিজ চোখে জলাবদ্ধতা দেখে এসেছি। দেখতে পাচ্ছি ডিএনডি প্রজেক্ট নিয়ে কিছু লোক গুলিয়ে ফেলছে। উদ্ভট কথাবার্তা ছড়াচ্ছে কিছু লোক। আমি রাস্তা থেকে উঠে এসেছি। আমি রাজনীতি করে উঠে এসেছি। আগামী নির্বাচন করব কিনা জানি না। আগামীকাল বাঁচব কিনা সেটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। নির্বাচন তো বহুদূর। অলরেডি শকুনেরা সোচ্চার হয়ে নেমে পড়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে অনেককেই হত্যা করা হয়েছিল। মহিলা নেত্রীকে ফতুল্লা ডিআইটি মাঠে মারতে মারতে উলঙ্গ করা হয়েছিল। আমাদের ফ্যাক্টরিতে লুটপাট চালানো হয়েছিল। ৩০০ গরুর বান কেটে নেয়া হয়েছিল। তিন কোটি টাকা লুট করা হয়েছিল। আমার বাড়িতে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা হয়ছিল। সেলিম ওসমানকে অস্ত্র দিয়ে ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। দাফন করার জন্য দুটি লাশ নিয়ে যাচ্ছিলাম সেই লাশের ওপর ৭০টি গুলি করা হয়েছিল।
আমি ২০০১ সালে নির্বাচনে পরাজিত হয়নি উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ব্যালটবাক্স পরিবর্তন করে ৩০ হাজার ভোটে আমাকে পরাজিত করা হয়েছিল। মো: আলী ভাই সেদিন তাকে নির্বাচিত করেছিলেন। ওই ব্যক্তি প্রথমেই মো: আলী ভাইকে মামলা দিয়েছে। নির্বাচিত হয়ে চুন ব্যবসায়ী সুন্দর আলীসহ অনেককেই হত্যা করেছে।
বর্তমানে নির্বাচনকে সামনে রেখে ওই ব্যক্তি জলাবদ্ধতাসহ নানা ইস্যু নিয়ে খোঁচাখুচি করছে দাবি করে শামীম ওসমান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আজ ১৫ বছর। এই সময়ে কোনো রাজনৈতিক সহিংসতা ছিল না। সামনে নির্বাচন তাই তিনি মাঠে নেমেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দনশীল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, ফতুল্লা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি আহসান চৌধুরী ফারুক, ফতুল্লা বাজার সমিতির সভাপতি জাতীয় পার্টি নেতা কাজী দেলোয়ার হোসেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষধের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছা সেবক লীগ সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ লিটন ও ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু শরিফুল হকসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি।
