গণঅধিকার মূলত দুটি সংসদীয় আসনের জন্য নয়, বরং একটি আসনের জন্যই লড়াই করছে, আর তা হলো রাশেদের আসনটি- এমনটাই বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. ফয়জুল হক।
ফেস দ্যা পিপলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, গোপন সত্য তথ্যটি প্রকাশ করলে দলের ভেতরে অনৈক্য সৃষ্টি হবে, যা আমি চাই না। রাশেদই দায়িত্ব পেয়েছে দলকে ভিন্ন পথে পরিচালনার! নূর দলের সভাপতি, তাই তাকে বাদ দিয়ে রাশেদকে চিঠি দেওয়া যায় না — এজন্য নূরও চিঠি পেয়েছেন। কিন্তু আসলে নূর ছাড়াই রাশেদ যাবেন সংসদে।
ঝিনাইদহের রাজনৈতিক অঙ্গণ নিয়ে তিনি বলেন, ঝিনাইদহের রাজনীতির গতিপথ ভিন্ন। সুষ্ঠু ভোট হলে রাশেদ নয়, বরং বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী কিংবা জামায়াত পাবে আসনটি। আমি কম কথা বলি, কিন্তু যতটুকু বলেছি তা বিশ্বাস করুন — না হলে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক এই বিশ্লষকের জানান, অনেকেই বলেন, হঠাৎ করে নূর সাহেব ও রাশেদের বক্তব্য কেন আর জনগণের চাহিদার আলোকে হচ্ছে না? কারণ, তারা একটি ছোট বাম গোষ্ঠীর খপ্পরে পড়েছেন। একজন বাম নেতা এখন এই দলটি পরিচালনা করছেন — যিনি আবার ৫ আগস্টের আগে এই দলটি ভাঙার জন্য বহু চেষ্টা করেছেন।
গণঅধিকার পরিষদের জন্য নিজের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাকে কেউ প্রশ্ন করবেন না, কেন বা কী কারণে এই তথ্যটি বললাম? সহজ উত্তর — আমি এই দলটিকে ভালোবাসি। এই দলের জন্য দুর্দিনে কথা বলেছি। এখন চোখের সামনে দেখছি, দলটি প্রতারণার ফাঁদে পা দিচ্ছে।
‘এই দলটি সরাসরি তারেক রহমানের আশীর্বাদে নয়, আছে তার নাম বিক্রি করা একজন বামপন্থী নেতার প্রভাবাধীন — যিনি তাদের ব্যবহার করবেন, কিন্তু কখনোই বড় হতে দেবেন না। আমার কথায় কেউ কষ্ট পেলে সমস্যা নেই। শুধু বলছি — ফলাফল জানতে অপেক্ষা করুন। যদি নীতির পরিবর্তন করে সহজে ফল পেতে চান, তাহলে ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু হারানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’, যোগ করেন ড. ফয়জুল হক।