চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) আসনের বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মো. কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৩টায় চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ঘোষিত বিজয় র্যালি। ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট এবং ‘জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান’-এর প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই বিজয় র্যালি দোয়াভাঙ্গা এলাকা থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজিত বিজয় র্যালি ঘিরে শাহরাস্তির রাস্তাঘাট মুখর হয়ে ওঠে হাজারো নেতাকর্মীর স্লোগান, ব্যানার ও জাতীয় পতাকার রঙে। নানা শ্রেণিপেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে র্যালিতে অংশ নেন। উল্লেখযোগ্য আকর্ষণ ছিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতীকী অবয়ব নিয়ে অভিনয়, যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন সামিয়া ইসলাম ইভা। অভিনয়টি র্যালিকে ভিন্নমাত্রা এনে দেয় এবং উপস্থিত সবার দৃষ্টি কাড়ে।
বিজয় র্যালি-পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে এখনও সক্রিয় একটি অপশক্তি। আমাদের সজাগ থাকতে হবে। গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে রাজপথই হবে আমাদের উত্তরের জায়গা।” তিনি বলেন, “এই বিজয় র্যালি প্রমাণ করেছে—মানুষ এখনও বিএনপির পাশে আছে। দলীয় নেতৃত্বের প্রতি মানুষের আস্থা এখন দৃশ্যমান।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহমুদ হোসেন মোল্লা, হাজীগঞ্জের যুবনেতা ফরহাদ মামুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইকবাল, বিএনপি নেতা জাকির মুন্সি, শাহরাস্তি পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের সিএ, সহ-সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ ফারুক হোসেন মিয়াজি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহম্মেদ সোহেল, যুবদলের সদস্য সচিব মো. আবদুল কাইয়ুম রিপন এবং ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ।
শাহরাস্তি পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের সিএ বলেন, “এই বিজয় র্যালি গণমানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। জনগণ আজ পরিবর্তন চায়, তাদের আকাঙ্ক্ষা বিএনপির প্রতি।”
বক্তারা আরও বলেন, দেশের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে গণজাগরণ ছাড়া বিকল্প নেই। তারা দলীয় নেতাকর্মীদের আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রক্ষার আহ্বান জানান।
সার্বিকভাবে শাহরাস্তির বিজয় র্যালি পরিণত হয় এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক জাগরণে। হাজারো মানুষের অংশগ্রহণ, সুশৃঙ্খল মিছিল, স্লোগান এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা মিলিয়ে দিনটি রূপ নেয় একটি আনন্দ উৎসবে।