গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের কোনো দুর্বলতা থাকলে বাংলাদেশের কাছ থেকে তা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাজ্যকে দুঃশ্চিন্তা করতে বারণ করেছেন।
রবিবার যুক্তরাজ্যের ইন্দো–প্যাসিফিকবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রিভেলিয়ানকে এসব কথা বলেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিন দিনের বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সফরের শেষ দিন দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ওনারা জিজ্ঞেস করেননি, আমি বলেছি আগামী নির্বাচনের কথা। আমরা একটা স্বচ্ছ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। সে জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা উচিত, আমরা সেগুলো তৈরি করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর কাছে উল্লেখ করে জানিয়েছে, নির্বাচনের সময় কমিশন যা চায়, সেটাই করতে পারে। তখন অন্য কারও ক্ষমতাচর্চার সুযোগ থাকে না।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ভোটের সময় ভুল করে না। আমাদের জনগণ অত্যন্ত সেয়ানা। তারা অত্যন্ত পরিপক্ব। ভোটের সময় তারা কখনো ভুল ভোট দেয় না। সুতরাং, এসব নিয়ে আপনাদের (যুক্তরাজ্যের) দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।
এ সময় ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীকে কোনো দুর্বলতা থাকলে বাংলাদেশ থেকে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আমাদের রক্তে হচ্ছে গণতন্ত্র, ন্যায়পরায়ণতা ও মানবাধিকার। এসব বিষয়ে অন্য কারও কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। আপনাদের দুর্বলতা থাকলে আমাদের থেকে নিতে পারেন।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী কোন প্রশ্ন ছিল কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি কিছু বলেননি, শুনেছেন। উনি বলেছেন, গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকতে পারে।
দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বিস্তর আলাপ হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে অনেক অনেক আলাপ হয়েছে। ওটাই মূল ইস্যু ছিল। মিয়ানমারে সেনাশাসন আসার পর তাদের সঙ্গে আমাদের সংলাপ হয়েছে কি না জানতে চেয়েছেন তিনি। আমরা বলেছি, হয়েছে।