বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার এমনভাবে কথা বলে যেনো এদেশের চেয়ে বেশি গণতন্ত্র আর কোথায় নেই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলে আর লাভ নেই। এবার রুখে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, এরা জাতির বড় ক্ষতি করছে। গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। ভোটাধিকার হরণ করেছে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করেছে। এদের কাছে কেউ নিরাপদ নয়।
আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে মালিবাগ স্কাই সিটিতে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ সরকার দায়িত্বজ্ঞানহীন সরকার। কোথাও ঠিকমত দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। গতকাল বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে হাজার কোটি টাকা কাপড় পুড়ে গেছে। কিছুদিন আগেও সিদ্দিক বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ২২ জন নিহত হয়েছে। এরপর মানুষকে কিভাবে এসব দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করা যায়, তার কোনো পরিকল্পনা নেই।
প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য লোক মারা যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সড়কপথও যেন মৃত্যুকূপ।
সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করে একের পর এক বেআইনি কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল কুমিল্লায় বিএনপির মাহফিলের সময় ইফতার করার সময় পুলিশ হামলা চালায়। গ্রেফতার করা হয় ২৫ জন নেতাকর্মীকে। আজ সকালে নরসিংদী জেলা কমিটির সভায়ও পুলিশ হামলা চালায়। নাটোর, খুলনাসহ সারাদেশে বিএনপির সভায়, ইফতার মাহফিলে হামলা চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, আল্লাহ কাছে ফরিয়াদ করি, আল্লাহ যেনো আমাদের সকল জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হবার তৌফিক দান করেন। আমরা যাতে যদি এ সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার গঠন করে মানুষকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে পারি।
জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ ইবরাহিম।
ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ, হাবিবুর রশিদ হাবিব, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী, জেএসডি সভাপতি আ স ম রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, এনপিপি চেয়ারম্যান ড.ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ১২ দলীয় জোট নেতা ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, কারি আবু তাহের, শাহাদাত হোসেন সেলিম, রকিব হোসেন, এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী প্রমুখ।