গত মার্চে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যার ছবি নিয়ে একটি চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ মিশন। এই প্রদর্শনীর পরই পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত মন্তব্য সম্পর্কে নিজেদের মতামত জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশ মিশন কর্তৃক আয়োজিত ৭১-এর গণহত্যা বিষয়ক চিত্রপ্রদর্শনী প্রসঙ্গে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত মন্তব্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোচরে এসেছে। জাতীয় গণহত্যা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশ মিশন আয়োজিত চিত্রপ্রদর্শনীটি জাতিসংঘ সদরদপ্তরের পূর্ণ সহযোগিতায় এবং প্রতিষ্ঠানটির সকল নিয়ম মেনেই আয়োজন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতএব ‘নিয়ম না মেনে বা ইতিহাস বিকৃত করে প্রদর্শনী আয়োজন করায় জাতিসংঘ প্রদর্শনী বন্ধ করে এবং বিতর্কিত ছবিগুলো নামিয়ে ফেলে’ বলে যে দাবি করা হয়েছে তা সত্য নয়, বরং নিতান্তই বানোয়াট। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির পর এবারই প্রথম জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ১৯৭১ সালে গণহত্যার শিকার শহীদদের সম্মানে এ ধরনের চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, প্রবাসী বাংলাদেশি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ২৯ মার্চ প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখেন। তিন দিনব্যাপী চলা এই প্রদর্শনী ৭১-এর গণহত্যা বিষয়ে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
ঐতিহাসিক এই আয়োজন সফল করতে সকল সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ মিশন ঢাকাস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদরদপ্তরের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। ৭১-এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নানামুখী প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।