গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে এক স্ত্রীর বিরুদ্ধে শাবল দিয়ে বাক্প্রতিবন্ধী স্বামীর চোখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার কালুগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত ওই স্বামীর নাম নুরুল ইসলাম (৪৫)। তিনি উপজেলার কালুগাড়ী গ্রামের রহিম উদ্দীনের ছেলে।
মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী সাজেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল গভীর রাতে নুরুলের বাড়িতে হইচই শুনে তাঁর বাড়িতে যান প্রতিবেশীরা। তাঁরা গিয়ে দেখেন, শাবলের আঘাতে নুরুলের বাঁ চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কপাল দিয়ে রক্ত ঝরছে। এ ছাড়া শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাথী আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ওই ব্যক্তির চোখে তেমন সমস্যা হয়নি। তবে কপালের উপরিভাগে মাথায় গুরুতর জখম হয়েছেন। সিটিস্ক্যান করতে দেওয়া হয়েছে। এখনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ডান চোখটি বন্ধ হয়ে আছে। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।
নুরুলের ছেলে শামিম মিয়া বলেন, বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। কপালের আঘাত গুরুতর। তাঁর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় নুরুলের বড় ভাই সাবু মিয়া বাদী হয়ে দুপুরে পলাশবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সাজেদাকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহের জেরে সাজেদা শাবল দিয়ে নুরুলকে আঘাত করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।