গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রেই নৈরাজ্য হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেন, কমিশন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এতগুলো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত ইসি কীভাবে নিল তা বোধগম্য নয়।
বুধবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় তিনি এমনটা জানান।
এই আসনে নির্বাচন স্থগিত প্রসঙ্গে ইসির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মাহবুবুল আলম হানিফ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রেই নৈরাজ্য হয়নি। ঢাকায় কমিশন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এতগুলো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত ইসি কীভাবে নিল- তা বোধগম্য নয়।
এর আগে আজ বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোটগ্রহণে নানা অনিয়মের অভিযোগে ৫৩টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, নির্বাচন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন তারা। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
সিইসি বলেন, সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় কোনো কোনো কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। কোথাও গোপন বুথে একাধিক ব্যক্তি আনাগোনা করছেন। ভোটে এমন ডাকাতির অনেক অভিযোগ পেয়েছে কমিশন। সেজন্যই নির্বাচনে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চায় ইসি।
গাইবান্ধা-৫ আসনের এ উপনির্বাচনে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ এনে বগারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে একসঙ্গে জাতীয় পার্টিসহ চারপ্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মাহমুদ হাসান রিপন অংশ নেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির (জাপা) এএইচএম গোলাম শহীদ (লাঙ্গল), বিকল্প ধারার জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান (আপেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক) প্রতীক নিয়ে ভোটে অংশ নিয়েছেন।