গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইসরাইল দাবি করেছে, ফিলিস্তিনি গ্রুপগুলোর রকেট নিক্ষেপের জবাবে তারা এই হামলা চালাচ্ছে।
দখলদার ইসরাইলের ইহুদি উপশহরে অন্তত ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। গাজায় টানা দুদিন ধরে ইসরাইলি বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় বুধবার (১০ মে) এ হামলা চালানো হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরাইলি বাহিনী যে হামলা চালিয়েছে তাতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত ও ২০ জনের বেশি আহ্ত হয়েছেন। বুধবারের হামলায় আরো সাতজন নিহত হয়েছে।
এর প্রতিবাদে ইহুদিবাদীদের উপশহর সিদরুত ও আসকালানসহ বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ফিলিস্তিনি সংগ্রামীরা। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই সিদরুতসহ কয়েকটি উপশহরে সাইরেনের শব্দ শোনা যায়।
এদিকে, গাজায় বুধবারও ইসরাইলের বিমান হামলা অব্যাহত ছিল। বুধবারের হামলায় গাজার খান ইউনুসে অন্তত এক ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও একজন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ইসরাইলি বাহিনী আল কুদুস ব্রিগেডের ক্যাম্পসহ গাজার বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করেছে।
আল কুদুস ব্রিগেড হলো ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সামরিক শাখা। মঙ্গলবারও ইসলামিক জিহাদের শীর্ষ তিন নেতার বাসস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এতে ওই তিন নেতাই নিহত হন।
আল জাজিরার ইয়ামনা আল সাইয়েদ গাজা সিটি থেকে জানান, প্রবল উত্তেজনা বিরাজ করছে। দোকানপাট, স্কুল, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা- সবকিছুই বন্ধ রয়েছে। লোকজন খুব কমই ঘরের বাইরে যাচ্ছে।
গাজাভিত্তিক লেখক রানা শুবাইর বলেন, ইসরাইলি হামলায় সবাই অবাক হয়ে গেছে। সবাই ঘুমিয়ে ছিল। তখনই হঠাৎ করে বিস্ফোরণ ঘটে।
ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার গাজা থেকে চার শতাধিক রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। তারা জানায়, বেশির ভাগ রকেটই উন্মুক্ত এলাকায় ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এক তৃতীয়াংশ ভুলপথে গিয়ে গাজার ভেতরেই পতিত হয়েছে।