ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। লেবানন থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপের কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েল বিমান হামলা চালানোর দাবি করে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ‘দ্যা স্ট্রং হ্যান্ড’ নামে অভিযান শুরু করেছে। স্থানীয় সময় মধ্যরাতের পর অবরুদ্ধ ছিটমহল গাজায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তবে এতে হতাহতের কোনো তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লেবাননের রকেট হামলার জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপরই গাজায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার অন্তত পাঁচটি স্থানকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এগুলো হলো- উত্তর গাজার বেইত হেনোন কৃষি জমি, গাজা শহরের দক্ষিণে দুটি এলাকা, গাজা শহরের কাছে আল-জাইতুন এলাকার পূর্বদিকের কৃষিজমি ও দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বদিকের একটি এলাকা।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের কয়েক মিনিট পর গাজা থেকে অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল ও রকেট নিক্ষেপ করা হয়। ফলে গাজা সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি শহরে সাইরেন বেজে ওঠে। টুইটারে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, দক্ষিণ ইসরায়েলে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে ৩৪টি রকেট ছোঁড়ার ঘটনায় ২০০৬ সালের লেবানন-ইসরায়েল যুদ্ধের পর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
লেবানন থেকে রকেট হামলার জন্য গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনি গ্রুপ হামাসকে দায়ী করেছে ইসরায়েল। তবে, এ হামলার কথা অস্বীকার করেছে।
ইসরায়েলি গাজায় বোমাবর্ষণ শুরু করার কিছুক্ষণ আগে, গাজার প্রধান সশস্ত্র দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট অপারেশন রুম থেকে বলা হয়েছে, তারা ইসরায়েলের যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত।
এর আগে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানায় যে, দেশটির সরকার গাজা ও লেবাননে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পবিত্র রমজান মাসে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর গত বুধবার টানা দ্বিতীয়বার ইসরায়েলি হামলার ফলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসার ভেতর হামলা ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের উপর হামলা করে, তাদের মসজিদ থেকে বের করে রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে, দক্ষিণ লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ বলেছে যে তারা আল-আকসায় হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনিদের দ্বারা নেওয়া ‘সকল ব্যবস্থা’ সমর্থন করবে।