গাজার বাইরে সহিংসতা না ছড়াতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইতালি। গতকাল সোমবার (০৯ অক্টোবর) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে ইস্যু করা যৌথ এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানায় দেশগুলো।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উগ্রবাদী অন্য দল, যেকোনো রাষ্ট্র ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংঘাতময় পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাইতে পারে। এটা না করার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। বিশেষ করে ইরানের প্রতি এ পরিস্থিতিকে অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করার ও গাজার বাইরে সংঘাত ছড়িয়ে না দিতে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’
গত শনিবার সকালে ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের এ পদক্ষেপের পাল্টা হিসেবে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
হামাস ও ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলায় এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষে প্রায় ১ হাজার ৫০০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ফিলিস্তিনি ৬০০ জন এবং ইসরায়েলি ৯০০ জন।
হামাসের হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ইরান। গতকাল রোববার এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ইরানের সমর্থনে হামাস আরও শক্তিশালী হয়েছে। তবে ইসরায়েলে হামাসের এই সুনির্দিষ্ট হামলায় ইরানের জড়িত থাকার কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র পায়নি।
ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরিকল্পনায় ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তার বিষয়ে যে খবর বেরিয়েছে, তা অস্বীকার করেছে তেহরান।
এদিকে ফিলিস্তিন-ইসরাইলের মধ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহযোগিতায় সামরিক জাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার হামাসের হামলার জবাবে গাজায় পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এর মাঝেই ইসরায়েলকে সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরাইলকে সহযোগিতা করার জন্য যুদ্ধাস্ত্র প্রদান করা হবে। এ ছাড়া রোববার থেকে নিরাপত্তা সহযোগিতা দেওয়া হবে। পেন্টাগন ওই অঞ্চলে যুদ্ধ বিমান পাঠাবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে, হামাসের সর্বশেষ হামলা সৌদি আরব ও ইসরাইলের সম্পর্কের মধ্যে চিড় ধরাতে পারে। এক দশকের মধ্যে শনিবার ইসরাইলের ভূখণ্ডে স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।