তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতি এবং তাদের ভূমি দখলের পরিকল্পনা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) এর বিশেষ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভায় ফিদান বলেন, যারা ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে গাজা দখল করতে চায়, তাদের মনে রাখা উচিত—আজকের এই সংকটের মূল কারণই হলো ইসরাইলের দখলদারিত্ব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অবশ্যই পশ্চিম তীর সংযুক্ত করার জন্য ইসরাইলি চরমপন্থিদের প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে হবে। একইভাবে, আমরা আল-হারাম আল-শরিফের ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের কোনো প্রচেষ্টাকে মেনে নিতে পারি না। তুরস্কের পক্ষ থেকে, আমরা কায়রোতে গৃহীত পরিকল্পনাকে সমর্থন করি।
ফিদান জোর দিয়ে বলেন, মুসলমানরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে এবং ফিলিস্তিনিরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইতিহাস আমাদের কাজের ভিত্তিতে বিচার করবে। আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের প্রতি আরও বেশি সহায়তা প্রদান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনের ফিলিস্তিনি ও মুসলিম পরিচয় সংরক্ষণে কোনো বিকল্প নেই। আমাদের স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে যে গাজা ফিলিস্তিনের ভূমি এবং সেটি চিরকাল ফিলিস্তিনেরই থাকবে।
এছাড়াও, তিনি সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং বলেন, সিরিয়ার জনগণের তাদের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ এসেছে।
ফিদান জোর দিয়ে বলেন, সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন গুরুত্বপূর্ণ, যা কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার ভিত্তিতে হতে হবে। তিনি আরও বলেন, সিরিয়া যাতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার যথাযথ অবস্থান ফিরে পায়, সে জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানো দরকার।
তিনি সিরিয়াকে পুনরায় ওআইসি’র সদস্যপদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
ওআইসি সদস্যরা ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরাইলের আগ্রাসন এবং তাদের উচ্ছেদের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে বিশেষ বৈঠকে মিলিত হয়।
ওআইসি সম্মেলনের ফাঁকে ফিদান মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলাত্তি এবং কাজাখস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুরাত নুরতলেউর সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া, তিনি ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফার সঙ্গেও বৈঠক করেন।