গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্রদের ওপর মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলার ঘটনায় সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ঘনিষ্ঠদের নাম উঠে এসেছে। স্থানীয় সূত্র বলছে— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসিয়ে মারধর করা হয়েছে। আর এটি বাস্তবায়ন করেন জাহাঙ্গীর ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার রাতে ওই মারধরের ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয়দের তথ্য বলছে— ছাত্রলীগের পরিচয় গোপন করে কেউ কেউ ফোনে গাজীপুরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের জানান, সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে কয়েকজন ছাত্রকে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের মুক্ত করতে যেন তারা আসেন। তখন তেমন কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই ছাত্ররা সেখানে যান। এই সুযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে প্রচার করে তাদের ওপর হামলা চালায়।
সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের পরিকল্পনা মোতাবেক এই হামলা বাস্তবায়নে যারা ছিলেন, অনুসন্ধানে তাদের বেশ কজনের নাম উঠে এসেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন— রাজিব বিশ্বাস, শাওন সরকার। আব্দুল্লাহ আরিফ রিমন, জিয়াউর রহমান, মীর শামীম, সায়েম মল্লিক ও আব্দুল্লাহ আল রামিন।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি কলকাতায় আওয়ামী লীগ নেতাদের যে বৈঠকের খবর গোয়েন্দা সূত্রে গণমাধ্যমে এসেছে সেখানে জাহাঙ্গীর আলমও রয়েছেন। গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর উত্তরায় জাহাঙ্গীর আলমের পিএসকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্র-জনতা। জাহাঙ্গীর আলমও গুরুতর আহত হন। মূলত সেই প্রতিশোধ নিতেই তিনি এবার মরিয়া হয়ে উঠেছেন। গত রাতের এই ঘটনার দ্বারা মূলত সারাদেশের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে চান। বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে গাজীপুরে শ্রমিকদের উসকানি দেওয়ার পেছনেও জাহাঙ্গীরের হাত রয়েছে বলে জানা গেছে।