গাজীপুরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) জানায়, এখন পর্যন্ত ৪০ জন আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৭ ফেব্রুয়ারি রাতে, গাজীপুরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখান এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ওই সময়, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ২৫-৩০ জন ছাত্র ও জনতাকে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ডেকে এনে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
আহতরা জানান, তাদেরকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে গিয়ে মসজিদের মাইকে ‘ডাকাতি হচ্ছে’ বলে ঘোষণা দিয়ে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা মুখে মাস্ক পরে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারধর করে পালিয়ে যায়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সড়কে বিক্ষোভ করে, তাদের দাবি হামলাকারীদের দ্রুত বিচার করা হোক। তারা আরও দাবি জানায়, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হোক এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।
শনিবার রাতে বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন ছাত্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় শহরের জোর পুকুরপাড়ের দিকে থেকে একটি মোটরসাইকেল থেকে গুলি চালানো হয়, এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী মোবাশ্বের হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মোবাশ্বের হোসেনের বন্ধুদের দাবি, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছিল। তারা জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।