গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়ি বহরে হামলাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে টানা ৪ ঘণ্টা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের পর বর্তমানে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে জেলা শহরে।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টার পর শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। শহরে সাধারণ মানুষ না থাকলেও বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ফোনালাপে জানা গেছে, সন্ধ্যার পরই অনেকটা ফাঁকা হয়ে গেছে গোপালগঞ্জ শহর। ঘরে ফেরা কয়েকজন মানুষকে বিচ্ছিন্নভাবে রাস্তায় দেখা গেলেও তাদের চোখেমুখেও ছিল আতঙ্ক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবশ্য বেশকিছু অভিযানের চিত্র পাওয়া গিয়েছে। যেখানে সারাদিনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অনেককেই গ্রেফতারের প্রমাণ মিলেছে।
এছাড়া আতঙ্ক, উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ। আবার গ্রেপ্তার আতঙ্কে শহরতলীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরুষদের বাড়ি ছাড়ারও খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে দুপুরের দিকে গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে মাদারীপুর ফেরার পথে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গাড়ি বহরে হামলা চালায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত গোপালগঞ্জ। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে । বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় সরকারের পক্ষ থেকে কারফিউ জারি করা হয়।