গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে তারা মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণ অংশে অবস্থান নেন। এতে দুই লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘গোপালগঞ্জে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপদাদার’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’- এসব স্লোগানে উত্তাল ছিল ঢাকা-চট্টগ্রামের মহিপাল এলাকা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফেনী জেলা সংগঠক আবদুল্লাহ আল জুবায়ের বলেন, ‘গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ আবার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। জুলাই বিপ্লবীদের এসব করে কোনোভাবেই দমন করা যাবে না। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবেই আমাদের এই অবস্থান। জুলাইয়ের কোনো নেতার কিছু হলে বাংলার ছাত্র-জনতা ঘরে বসে থাকবে না।’
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন,’আন্দোলনকারীরা মহাসড়কে অবস্থান করেছে। এনসিপির নেতৃবৃন্দ গোপালগঞ্জ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে আসলে তারা কর্মসুচি সমাপ্ত করে। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, আজ বুধবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে গোপালগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় এনসিপির সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের বহনকারী গাড়িবহরের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অভিযোগ রয়েছে, তারা সড়ক অবরোধ করে গাড়িবহরে আক্রমণ চালায়।