চলতি বছরের শেষের দিকে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ ‘টু’ তে ভারতীয় ক্লাব এফসি গোয়ার মুখোমুখি হবে সৌদি ক্লাব আল-নাসর।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) মালয়েশিয়ায় এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার পরপরই এ তথ্য নিশ্চিত হয়। আর এ ম্যাচ খেলতেই ভারতে যাবেন ফুটবলের অন্যতম মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
কেননা গ্রুপ ডি’তে পড়েছে তার ক্লাব আল-নাসের। তাদের সাথে আছে ভারতের এফসি গোয়া, তাজিকিস্তানের ইস্তিকলল ও ইরাকের আল-জাওরা।
এদিকে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এই প্রতিযোগিতা। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুটি দল যাবে পরবর্তী রাউন্ডে।
তবে ভারতের ভাগ্যটা এতটাও সুপ্রসন্ন নয়। ২০২৩ সালে আল হিলালের খেলার কথা ছিল মুম্বাই সিটি এফসির বিপক্ষে, সে সময় দলটিতে ছিলেন নেইমার। শেষমেশ সেই ম্যাচের অনেক আগেই চোট নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যান তিনি। ভারতে আর খেলা হয়নি নেইমারের। সেই ঘটনার দুই বছর পর আবারও আন্তর্জাতিক ফুটবল তারকাকে আতিথ্য দেওয়ার সুযোগ পেল ভারত।
এদিকে দুই দলের এই লড়াই হবে আগামী ২২ অক্টোবর। সেদিন গোয়া আতিথ্য দেবে রোনালদোর আল নাসরকে। এই সুযোগটাকে ঐতিহাসিক মনে করছে ক্লাবটি। অনেকেই বলছে এ ম্যাচ হবে ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম বড়েএকটি ম্যাচ।
এফসি গোয়ার সিইও রবি পুষ্কুর দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, ‘এমন সুযোগ সত্যি জীবনে একবারই আসে। আল-নাসর ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে আতিথ্য দেওয়া আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ম্যাচ বলা যায়।’
৪০ বছর বয়সী রোনালদো ২০২২ সালে যোগ দেন আল-নাসরে। তবে এখনও রিয়াদভিত্তিক ক্লাবটির হয়ে বড় কোনো শিরোপা জিততে পারেননি। দলের সঙ্গে থাকবেন আরও তারকা খেলোয়াড়,সাদিও মানে এবং চেলসি থেকে আসা নতুন সাইনিং জোয়াও ফেলিক্স।
পুষ্কুর বিশ্বাস করেন, এই ম্যাচ ভারতীয় ফুটবলের জন্য হতে পারে এক মাইলফলক। তার ভাষায়, ‘এটা ভারতীয় ফুটবলের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমরা এখানে নিজেদের যোগ্যতায় এসেছি। এ ধরনের ম্যাচ আমাদের বড় ইতিহাসের অংশ হতে সাহায্য করে।’
যদিও ভারতীয় ফুটবলের জন্য সময়টা বেশ কঠিন। ২০২৫-২৬ আইএসএল মৌসুম স্থগিত হয়েছে আয়োজক চুক্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে। কয়েকটি ক্লাব আবার কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে বা খেলোয়াড়দের বেতন দেওয়া বন্ধ করে রেখেছে।
তবু পুষ্কুর আশাবাদী, এই ম্যাচ শুধু আর্থিক সুবিধাই নয়, দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, ‘এটা বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণের সুযোগ। স্পনসরশিপ বাড়বে, সমর্থকদের আগ্রহ ফিরবে — যা আমাদের ফুটবলের ভবিষ্যতের জন্য খুবই জরুরি।’