ভোক্তার ওপর চাপ না বাড়িয়ে জ্বালানি খাতে রাজস্ব সমন্বয়ের প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় ক্যাপটিভ খাতে গ্যাসের দাম ৫৭ শতাংশের বেশি না বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।
এর আগে সংগঠনটির পক্ষ থেকে শুধু ক্যাপটিভ খাতে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৫৭ শতাংশ বা ৯ টাকা বাড়িয়ে ২৫ টাকা করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু সরকার চা-শিল্প ও সার কারখানা ছাড়া শিল্পে ব্যবহৃত সব ধরনের গ্যাসের প্রতি ইউনিটের দাম বাড়িয়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করে।
এরপরই শুরু হয় সমালোচনা করতে থাকেন সচেতন মহল। এ পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাপটিভসহ শিল্প খাতে গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি। গত বুধবার সংগঠনটির সভাপতি সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এ চিঠি পাঠান।
চিঠিতে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিদ্যমান বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সবার চেষ্টায় অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এ রকম অবস্থায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। এমনিতে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল ও উৎপাদন উপকরণসহ সবকিছুর দাম ব্যাপক বেড়েছে। পাশাপাশি পরিবহন ব্যয় ও মুদ্রা বিনিময় হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এ অবস্থায় শিল্পকারখানা সচল রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি চিঠিতে আরও জানান, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ক্যাপটিভের ক্ষেত্রে গ্যাসের প্রতি ইউনিটের দাম ১৬ থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকার করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার সব ধরনের শিল্পে গ্যাসের ইউনিট প্রতি দাম বাড়িয়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে। নতুন করে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পেলে ব্যবসা পরিচালনার খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় শিল্প ও রপ্তানি খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
চিঠিতে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিস্থিতি বিবেচনায় গ্যাসের মূল্য সমন্বয়ের বিপক্ষে আমরা নই। তবে ভোক্তাদের ওপর চাপ না বাড়িয়ে প্রস্তাবিত দাম পুনর্নির্ধারণের অনুরোধ করছি।
আগামী এপ্রিল থেকে পুনর্নির্ধারিত দাম কার্যকরের অনুরোধ জানান এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি।