গ্রিসের উত্তরাঞ্চলে বিধ্বস্ত হওয়া কার্গো বিমানটি ল্যান্ড মাইনসহ ১১ টন অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে আসছিল বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
শনিবার গভীর রাতে কাভালা শহরের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় এবং এতে থাকা আট আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। বিমানটি সার্বিয়া থেকে জর্ডান যাচ্ছিল।
আন্তোনভ-১২ কার্গো বিমানটি ইউক্রেনের কার্গো এয়ারলাইন মেরিডিয়ান পরিচালিত।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আন্তোনভ-১২ বিধ্বস্ত হওয়া এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী লোকজনকে বাড়ির ভেতরে থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
রোববার (১৭ জুলাই) সকালে স্থানটি নিরীক্ষা করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।
রাষ্ট্র পরিচালিত টিভি জানিয়েছে, সেনাবাহিনী, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ও গ্রিক পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মীরা এটিকে নিরাপদ বলে মনে না করা পর্যন্ত সেখানে যাবেন না।
গ্রিসের উত্তরাঞ্চলের ফায়ার ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মারিওস অ্যাপোস্টোলিডিস সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মুহূর্তে (বাতাসের) পরিমাপ কিছুই দেখায়নি। কিন্তু তবুও ওই স্থানে অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে।’
‘অন্য কথায় তীব্র ধোঁয়া ও তাপ, সেইসঙ্গে একটি সাদা পদার্থ যা আমরা চিনতে পারি না। তাই একটি বিশেষ সশস্ত্র বাহিনীর দলকে আমাদের জানাতে হবে এটি কী ও আমরা ওই স্থানে প্রবেশ করতে পারি কি না।’
উড্ডয়নের পরপরই ইঞ্জিনে সমস্যার কারণে পাইলট কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি রানওয়েতে পৌঁছাতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দারা স্থানীয় সময় রাত প্রায় পৌনে ১১টার দিকে বিমানটিকে দেখতে পান।
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষা-মন্ত্রী নেবোজা স্টেফানোভিচ বলেছেন, আন্তোনোভ এএন-১২ প্রায় ১১ টন সার্বিয়ার তৈরি অস্ত্র বাংলাদেশে পরিবহন করছিল।
ঢাকার চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে এটি জর্ডান, সৌদি আরব ও ভারতে যাত্রাবিরতি করার কথা ছিল।
তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনার সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো সংযোগের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।