মুক্তাগাছায় গ্রেফতার এড়াতে শত শত নেতাকর্মী এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ রেখেছেন। আবার কেউ কেউ মোবাইল ফোন বাড়িতে রেখে অন্যত্র পালিয়ে রয়েছেন। একান্ত প্রয়োজনে তারা পরিবারের সঙ্গে অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন।
উপজেলা বিএনপি জানায়, গত ২৭ অক্টোবর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লেবু, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আলা আমিন মোল্লাসহ ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনের নামে নাশকতার মামলা করে পুলিশ।
এরপর থেকে পুলিশ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করতে প্রতিনিয়ত তাদের বাড়িতে তল্লাশি করছে। গ্রেফতার আতঙ্কে চার হাজারের অধিক নেতাকর্মী বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে রয়েছেন।
যদিও বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, তারাটিতে বিএনপির কোনো ধরনের হরতাল বা অবরোধের পক্ষে কোনো মিছিল পর্যন্ত হয়নি, এমনকি কোনো ধরনের পিকেটিং বা ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেনি। অথচ পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে তারাটি ইউপিতে নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে দেখিয়ে উপজেলার ৪১ জন নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে থানার ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, নাশকতার উদ্দেশ্যে বিএনপির নেতাকর্মীদের তারাটি ইউপির একটি স্থানে মিটিং করতে দেখা গেছে এবং সেখানে নাশকতার সরঞ্জামও পাওয়া গেছে। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে নয়, কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা হয়েছে।
এদিকে উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীদের আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় ঢিলেঢালাভাবে দলের কর্মসূচি পালন করছেন মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিদিনই দলের কর্মসূচির অংশ হিসাবে শান্তি সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল এবং সড়কে মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে রাজপথ দখলে রখেছেন।