সিলেটের ভেন্যুতে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হলেই যেন ধরাশায়ী হতে হয় বাংলাদেশকে। সাড়ে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের নভেম্বরে) এই ভেন্যুতেই জিম্বাবুয়ের কাছে (১৫১ রানে) হেরেছিল বাংলাদেশ। আজকে আরেকটি লজ্জার হার হজম করলো নাজমুল হোসেন শান্তরা।
স্বল্প রানের পুঁজিতেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন বোলাররা , বিশেষ করে মেহেদী হাসান মিরাজ তার জাদুকরী ঘূর্ণিতে কিছুটা থেমেই গিয়েছিল সফরকারীরা। কিন্তু স্কোরবোর্ডে ছিল না জয় তুলে নেওয়ার মতো সংগ্রহ। জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৭৪ রানের।
১ উইকেটেই ১১২ রান তুলে ফেলা জিম্বাবুয়ের জন্য কাজটা কঠিন করে তুলেছিলেন মিরাজ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি বাংলাদেশের। ৩ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট আর বেন কারেন জয়ের ভিত গড়ে তুলেছিলেন। ৯৫ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪৪ করা কারেনকে ফিরিয়ে জুটিটি ভাঙেন মিরাজ। এরপর নিক ওয়েলশ (১০) হন তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ। তখনও সহজ জয়ের পথেই ছিল জিম্বাবুয়ে।
সেখান থেকে মিরাজ ঘূর্ণি জাদু দেখান। শন উইলিয়ামস (৯), ব্রায়ান বেনেটকে (৫৪) সাজঘরের পথ দেখান মিরাজ। তাইজুল ফেরান অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে (১০)।
এরপর মায়াশা মায়াভো (১) আর ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে (১২) বোল্ড করে জয়ের আশা জাগান মিরাজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর অসাধ্য সাধন হয়নি। ওয়েসলে মাদভেরে অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে, রিচার্ড এনগারাভা ৪ রান নিয়ে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন।
মিরাজ ৫০ রান দিয়ে একাই শিকার করেন ৫টি উইকেট। প্রথম ইনিংসেও ৫ উইকেট নিয়েছিলেন এই অফস্পিনার।
এর আগে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ২৫৫ রানেই। নাজমুল হোসেন শান্ত আগের দিনের সঙ্গে কোনো রান যোগ না করেই ৬০ করেই আউট হন। জাকের আলী শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছেন।
শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৫৮ রান। ১১১ বলের লড়াকু ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কা হাঁকান জাকের।
জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারবানি ৭২ রানে নেন ৬ উইকেট।
স্কোরবোর্ড
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৬১ ওভারে ১৯১/১০ (মুমিনুল ৫৬, শান্ত ৪০, জাকের ২৮; ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ৩/২১)
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ৮০.২ ওভারে ২৭৩/১০ (বেনেট ৫৭, উইলিয়ামস ৫৯, মায়াভো ৩৫; মিরাজ ৫/৫২, নাহিদ রানা ৩/৭৪)
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৭৯.২ ওভারে ২৫৫/১০ (শান্ত ৬০, জাকের ৫৮, মুমিনুল ৪৭, জয় ৩৩; মুজারবানি ৬/৭২)
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ৫০.১ ওভারে ১৭৪/৭ (বেনেট ৫৪, কারেন ৪৪; মিরাজ ৫/৫০, তাইজুল ২/৭০)।