মহাসমাবেশ থেকে ঘোষিত বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আটক করা হয় দলটির সিনিয়র নেতা আমানউল্লাহ আমানকে। এ সময় পুলিশি হামলায় তিনি আহত হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শেরেবাংলা নগরস্থ জাতীয় হৃদরোগ ইনন্সটিটিউটে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপরে হাসপাতালে তাকে দেখতে যান আওয়ামী লীগের এটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল। সে দলের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব গাজী হাফিজুর রহমান লিকু।
গাজী লিকু প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া খাবার-ফল ও জুস তার হাতে দেন এবং গণমাধ্যমকে বলেন, আমানউল্লাহ আমান প্রধানমন্ত্রীর সব উপহার গ্রহণ করেছেন এবং তাকে রাজনৈতিক শিষ্টাচারের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তিনি (আমানউল্লাহ আমান) চিকিৎসার জন্য দেশের ভেতরে যেকোনো হাসপাতালে যেতে চাইলে তারও ব্যবস্থা করে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার সময় ফেসবুক লাইভে এসে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন সাবেক ডাকসু ভিপি আমানউল্লাহ আমান।
এ ঘটনাকে ‘সাজানো নাটক’ দাবি করে তিনি বলেন, এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অদ্য অবস্থান কর্মসূচি ছিল। সে কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করতে গিয়ে আমি গাবতলীতে পুলিশের আক্রমণে মারাত্মক আহত হই। আহত অবস্থায় আমাকে টেনেহিঁচড়ে মাটিতে ফেলে আঘাত করা হয়। একপর্যায়ে আমাকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আহত অবস্থায় আমাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়।
৯০ এর ছাত্র আন্দোলনের নেতা আমান বলেন, হসপিটালে আমি যখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলাম। আহত অবস্থায় ওষুধ খাইয়ে ঘুমে রেখেছিল আমাকে। ঘুমের মধ্যে আমাকে কে বা কাহারা এসে ফুলের ঝুড়ি দিয়ে নাটক সাজিয়েছে। আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দল এবং দেশবাসীর কাছে আমার অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস আন্দোলনের এবং বর্তমানে এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনরত রাজপথে আমি যে ভূমিকা রেখে যাচ্ছি তার পিঠে ছুরিকাঘাত করার জন্য এ নাটক সাজানো হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের এ সদস্য আরও বলেন, এক দফা দাবি পূরণ না-হওয়া পর্যন্ত, এ সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ না ভাঙা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
তিনি বলেন, এ আন্দোলনে আমি আছি, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি এই আন্দোলনে থাকব। আপনারা কোনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্তে কান দেবেন না। এবং কোনো গুজবে কান দেবেন না।
বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের এ সভাপতি বলেন, আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সৈনিক, আমি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী আপসহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্নেহধন্য সৈনিক। আমি রাজপথে ফায়সালা হওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি, ইনশা আল্লাহ যাব। এবং রাজপথে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত এক দফা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ আছি, রাজপথে থাকব ইনশা আল্লাহ। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।