জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিতে) পড়ার পাশাপাশি সাগর আহমেদ চাকুরী করতেন গাজীপুরে একটি তৈরি পোশাক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে। পরিবারের হালটাও ধরেছিলেন তিনি। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় থেমে গেল সাগরের জীবন।
ছুটিতে ঘুরতে গেছিলেন রাজশাহীতে। সেখান থেকে নাটোরে গিয়ে আম কিনে ঢাকায় ফেরার কথা ছিল তার। আম কিনে ফেরার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সাগর আহমেদের।
গতকাল শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল সাড়ে চারটায় নাটোরের সদর উপজেলার বনবেলঘরিয়া এলাকায় বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
নিহত সাগর আহমেদ রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। স্নাতক পাসের পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং এন্ড জিআইএস এ স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত ছিলেন।
দূর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোরের ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল কালাম বলেন, গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী বাসের সাথে সাগরদের সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ড্রাইভার এবং সাগরসহ তার দুই সহকর্মী ঘটানস্থলেই মারা যান। পরবতীর্তে তাদের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয় এবং থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
সাগরের বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ওসমান মিয়া বলেন, এ ঘটনায় আমরা খুব শোকাহত। তাদের পরিবারে তারা দুই-ভাই বোন ছিলেন। বড় বোন বিবাহিত হওয়ায় এখন তাদের পরিবার দেখভালের মতো আর কেউ রইলো না। এটি তার পরিবার ও আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীর এমন অনাকাক্ষিত মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার পরিবারের প্রতি আমরা সহমর্মিতা জানাচ্ছি। তার মৃত্যুতে কেউ দায়ী থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির দাবি করছি।