চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় পলোগ্রাউন্ড মাঠ ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ২০ লাখ লোক সমাগম হয়েছিল বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, এটি ছিল স্মরণকালের সেরা জনসভা। কেউ বলছেন ১০ লাখ। আমি তো বলব ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তবে এ জনসভায় আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও আবেগাপ্লুত হয়েছেন। আর এখানেই আমাদের সার্থকতা।
একই সঙ্গে জনসভায় লোকসমাগম নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুশি এবং সন্তষ্ট হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আ জ ম নাছির।
জনসভায় ভাষণ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে জনসভা স্থলের চারদিকে উপরে চক্কর দিয়ে উপস্থিতির বিষয়টিও প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি।
জনসভার প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি জানাতে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে চট্টগ্রামের নেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেন বলেও তিনি জানান।
পলোগ্রাউন্ডে গত ১২ অক্টোবর বিএনপি বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করেছিল। একই স্থানে আওয়ামী লীগ জনসভা করে পালটা জবাব দিল কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আ জ ম নাছির বলেন, ‘আমরা বিএনপির পালটা জনসভা করিনি। এটা কো-ইনসিডেন্স হতে পারে। যে কোনো রাজনৈতিক দল আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু বিএনপিকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে আমরা কর্মসূচি দেইনি। আপনারা দেখেছেন, পলোগ্রাউন্ডে আমরা মঞ্চ কোথায় করেছি। বিএনপি কোথায় করেছিল। তারা মাঠের পুরোটা ব্যবহার করেনি। আমরা মাঠ অনেক প্রশস্ত করে মঞ্চ তৈরি করেছি। যদি তুলনা করেন, তাহলে আমাদের জনসভায় যে পরিমাণ উপস্থিতি হয়েছে, তার সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের তুলনাই হয় না। অনেক দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মাইক লাগানো হয়েছিল। মাঠের বাইরেও অনেক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আমি বলব, জনসভায় উপস্থিতি ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রোববারের জনসভা কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসমাগম দেখে অনেক খুশি হয়েছেন। মাঠে যে পরিমাণ লোক ছিলেন তার বাইরে আরও প্রচুর মানুষ অবস্থান করছিলেন রাস্তায়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এত বড় একটি কর্মসূচি আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় নেতাদের আগামী নির্বাচন নিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে আ জ ম নাছির বলেন, জনসভার বাইরেও প্রধামন্ত্রী চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। আমরা যেন গণমুখী হই, কর্মীদের বিষয়ে আন্তরিক হই, সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করি, সেই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন সামনে নির্বাচন। এ নির্বাচনে যেন আমরা চট্টগ্রামের আসনগুলো পাই। চট্টগ্রামের নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর একটা আস্থা ও বিশ্বাস আছে। আমাদের সাংগঠনিক শক্তি তিনি নিজ চোখে দেখে গেছেন।