চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রোববার সকাল থেকে ভিড় করতে থাকেন। এসময় তাদের পরনে বাহারি রঙের গেঞ্জি দেখা যায়।
তারা বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায় থেকে বাস, অটোরিকশা, নৌকা, স্টিমারসহ বিভিন্ন যানবাহনে ভেন্যুতে আসছেন।
সকাল ১০টা থেকে কঠোর নিরাপত্তায় মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ভেন্যুতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ করে নেতা ও গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যাগ, ইলেকট্রনিক ডিভাইস তল্লাশি করছে।
পটিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজানসহ বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে মাঠের ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন। প্রতিটি এলাকার শ্রমিকরা একই রঙের গেঞ্জি পরে এসেছেন।
এর মধ্যে পটিয়ার নেতাকর্মীরা লাল গেঞ্জি, সন্দ্বীপের কমলা, রাউজানের নেতাকর্মীরা গোলাপী গেঞ্জি পরে আসেন।
সন্দ্বীপ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন থেকে ১৫ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে এসেছেন বলে দাবি করেছেন সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা।
তিনি বলেন, ‘শনিবার রাতে আমরা বিভিন্ন ট্রলার ও নৌকায় করে রওনা হই। আজ সকাল সাতটায় নেতাকর্মীরা সদর ঘাট এলাকায় প্রবেশ করেন।’
চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী বলেন, ‘এক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই আমাদের সংসদীয় এলাকায় সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন সভা করেছি।’
তিনি দাবি করেন যে পটিয়া থেকে প্রায় ২০-২২ হাজার মানুষ এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণ দেবেন নৌকা আকৃতির ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের মঞ্চে। নগরীর পলোগ্রাউন্ডে জনসভার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। বিকাল ৩টায় রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
জনসভা উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, শহরজুড়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সাত হাজার ৫০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জেলা সফরের পরিকল্পনা রয়েছে শেখ হাসিনার। এরই অংশ হিসেবে যশোর স্টেডিয়ামে প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
যশোরে জনসভার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী প্রচারণা।
আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলের আরেকটি জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।