মো. মেহেদী হাসান, জাবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও ইসকনের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকান্ডের বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে গিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘উগ্রবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ’হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, উগ্রবাদের ঠাঁই নাই,’ ’সাইফুল হত্যার বিচার চাই, করতে হবেসহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে যেভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত জঘন্য এবং নিন্দনীয় অপরাধ। একটি গোষ্ঠী পতিত স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশকে অস্থির করার জন্য ক্রমাগতভাবে দুরভিসন্ধি ও অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সমাবেশে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার বলেন, ’এই বাংলাদেশে উগ্রবাদী কোন গোষ্ঠীর ঠাঁই হবে না। আমরা সরকারকে বলে দিতে চাই, উগ্রবাদী কোন সংগঠনকে এই বাংলায় স্থান দেয়া যাবে না।’
তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবে দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শক্তিকে উৎখাত করেছি। তারপর থেকেই পতিত সরকার দিল্লিতে বসে বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই অবিলম্বে দ্রুত সময়ের মধ্যে সাইফুল হত্যার বিচার করতে হবে।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালতের বিচারক কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে আনা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। পরে কারাগারে নিতে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তুললে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায় চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা। এ ঘটনায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ সহ আহত ৬-৭ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সাইফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।