চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দল আয়োজিত গণসমাবেশে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে চেয়ার ও পাথর-ছোড়াছুড়ি করতে দেখা যায়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার (৩১ মে) বিকেল ৫টার দিকে কোতোয়ালি থানার জেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা, এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বানচালে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে মিছিল নিয়ে ঢোকার পথে এমইএস কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশাদুল আলম বাচ্ছু এবং ১৩ নম্বর পাহাড়তলি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী গ্রুপের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে দুইপক্ষ ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। পরে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে সংঘর্ষ থামে এবং আধাঘণ্টা পর সমাবেশ শুরু হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, জেলা পরিষদের সমাবেশে যোগ দিতে ওয়াসিমের নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে প্রথমে সিনেমা প্যালেস এলাকায় থামে। এরপরই পেছন থেকে আরশেদুল আলম বাচ্চুর নেতৃত্বে অপর একটি মিছিল আসে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি ও পাথর-ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। একপর্যায়ে একটি পাথর ওয়াসিমের মাথায় লাগলে তিনি সামান্য আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ওসি আরও বলেন, এ সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলেও জ্যেষ্ঠ নেতারা এবং পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ১৪ দলের চট্টগ্রাম মহানগর সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সুন্দর সমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।’