দেশজুড়ে সব শ্রেণি পেশার মানুষ পহেলা বৈশাখ উর্যাপন করেছে। এবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারেও পৌঁছেছে উৎসবের আমেজ, কারাবন্দিদের জন্য পান্তা ইলিশের আয়োজন করা হয়েছে। পাঁচ হাজার বন্দির জন্য ২৫০ কেজি ইলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন।
তিনি বলেন, কারা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী নববর্ষের প্রথম দিনে সকালের খাবারে বন্দিদের জন্য এই আয়োজন করা হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, শুধু পান্তা ইলিশ নয়, দুপুরের খাবারে পোলাও, মুরগির মাংস, ডাল, পান-সুপারি এবং মিষ্টি খেতে দেওয়া হবে কারাগারের কয়েদি এবং হাজতি বন্দিদের। পহেলা বৈশাখ ঘিরে কারাগারের ভেতর বন্দিদের বিনোদনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আয়োজন করা হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এতে কারাবন্দি শিল্পীদের পাশাপাশি বাইরের সংগীত শিল্পীও রাখা হচ্ছে।
এর আগে, গত ১০ এপ্রিল কারা অধিদপ্তর থেকে এক পত্রে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বাংলা নববর্ষ পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কারা অধিদপ্তরের প্রত্যেক বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক বরাবর দেওয়া এ পত্রে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বন্দিদের জন্য উন্নতমানের খাবার, সকালের মেন্যুতে সুবিধামতো বাঙালি খাবার (ইলিশ মাছসহ), দুপুরে পোলাও, মুরগির মাংস, ডাল, পান-সুপারি, মিষ্টি পরিবেশন করার কথা বলা হয়।
উন্নত খাবারের জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ইলিশ মাছের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কারাগারে উৎসবমুখর পরিবেশে বন্দিদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা, সামর্থ্য ও সুবিধা অনুযায়ী আঞ্চলিক পিঠা, হাওয়াই মিঠাই ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে বলেছে কারা অধিদপ্তর।
অন্যদিকে, নববর্ষ উপলক্ষে কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মেসে স্বাভাবিক রেশনের উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা, উন্নত খাবারের জন্য পহেলা বৈশাখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য জনপ্রতি ৫০ টাকা কারা অধিদপ্তর ফান্ড থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বাঙালি খাবার কিংবা ইলিশ রাখার কথা বলা হয়নি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দুপুরের মেন্যুতে পোলাও, মুরগির মাংস এবং মিষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।