গাজীপুর প্রতিনিধি: রাত পোহালেই ঈদুল আযহা, কিন্তু উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত গাজীপুরের চন্দ্রায় নেই পর্যাপ্ত বাস। আর বাস না থাকায় বাধ্য হয়ে ট্রাক-পিকআপে বাড়ির উদ্দেশ্যে ছুটছেন ঘরমুখো মানুষ।
শিল্প নগরী গাজীপুরের গার্মেন্টস শিল্প সহ অন্যান্য কারখানার ৫০ ভাগ ছুটি ঘোষণা করা হয় বুধবার (৪ জুন)। পরিবার পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন গাজীপুরে থাকা কারখানার কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে বাকি ৫০ ভাগ কারখানার ছুটির ঘোষণা করলে রাস্তায় দেখা যায় ঘরমুখো মানুষের ভয়াবহ চাপ।
দেশের উত্তরাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের প্রধান সড়ক ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা মোড়ে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ঘরমুখো মানুষ। এক দিনের ব্যবধানে প্রায় সকল কারখানা ছুটি হওয়ায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বহুগুণে বেড়ে গেছে। বুধবার থেকেই অতিরিক্ত মানুষের চাপে নাজেহাল চন্দ্রা মোড় ও আশপাশের কাউন্টারগুলো।

বৃহস্পতিবার থেকে অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে মহাসড়কে চাপ আরো বেড়ে যাওয়ায় দেখা দেয় দীর্ঘ ২০ কি.মি. জ্যাম। ১০ মিনিটের পথ ১ ঘন্টাতেও অতিক্রম করা সম্ভব হচ্ছে না।
একদিকে পরিবহন সংকট অন্যদিকে ২-৩ গুণ বাড়তি ভাড়ার কারণে বেশি সংকটে ভুগছেন ঘরমুখো মানুষ। পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মানুষজন ট্রাক-পিকআপ, মোটর সাইকেলে করেই রওনা দিচ্ছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে।
পরিবহনের তুলনায় যাত্রী কয়েকগুণ বেশি থাকায় হিমশিমে আছে পরিবহন সেক্টর। বরাবরের মতোই কাউন্টারগুলোতে ২-৩ গুন বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক যানজটমুক্ত ও আইন শৃঙ্খলা নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ, সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
আজহারুল ইসলাম