সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও চরমোনাই পীরের বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে তুমুল আলোচনা। এবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনের নোয়াখালী টাওয়ারে ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে তাঁদের এই বৈঠক হবে। গতকাল রোববার ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে আদর্শিক বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত থাকলেও জামায়াতে ইসলামি এবং ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের শীর্ষ নেতাদের ওই সাক্ষাৎ বা বৈঠকের ঘটনা দেশের রাজনীতিতে কৌতূহলের সৃষ্টি করে। এমন এক প্রেক্ষাপটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আজ দেখা করতে যাচ্ছেন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে।
জাতীয় নির্বাচন লক্ষ্য করে জামায়াতে ইসলামী অন্য ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যের চেষ্টা করছে, এমন আলোচনা রয়েছে রাজনীতিতে। এদিকে জামায়াতের আমিরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ২৪ জানুয়ারি ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে চরমোনাই পীর বলেছিলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একক বাক্স দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে এবং এটি চলমান রয়েছে।’
এমন পটভূমিতে বিএনপিও বিভিন্ন ইসলামি দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এরই মধ্যে ২২ জানুয়ারি খেলাফত মজলিসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির নেতারা।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন লক্ষ্য করে জামায়াতে ইসলামী অন্য ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যের চেষ্টা করছে, এমন আলোচনা রয়েছে রাজনীতিতে। এদিকে জামায়াতের আমিরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ২৪ জানুয়ারি ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে চরমোনাই পীর বলেছিলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একক বাক্স দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে এবং এটি চলমান রয়েছে।’
এমন পটভূমিতে বিএনপিও বিভিন্ন ইসলামি দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। এরই মধ্যে জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের বৈঠকের ঠিক একদিন পর ২২ জানুয়ারি খেলাফত মজলিসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির নেতারা।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের সঙ্গে একসময় শরিক ছিল খেলাফত মজলিস। ২০২১ সালের অক্টোবরে একটি ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ জোট ছেড়ে যায় তারা। ২২ জানুয়ারির বৈঠকটি ছিল প্রায় তিন বছর পর। এই বৈঠকের পর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে ধর্মভিত্তিক ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে তারা।
ইসলামি দলগুলোকে কাছে টানার চেষ্টার অংশ হিসেবে এসব বৈঠক করছে দলটি। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান–পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে আরও দলের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে।