যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি চীনের হুমকি উপেক্ষা করে তাইওয়ানে অবতরণ করেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম মার্কিন হাউসের কোনো স্পিকার তাইওয়ান সফর করলেন। এ সফর নিয়ে কয়েকদিন ধরে মার্কিন-চীন সম্পর্ক নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এমনকি জো বাইডেন প্রশাসনের সতর্কতা সত্ত্বেও তাইওয়ানে অবতরণ করলেন পেলোসি। চীন জানিয়েছিল, পেলোসির তাইওয়ান সফর খুবই উস্কানিমূলক এবং চীনের সেনারাও খুব একটা দূরে নেই।
ন্যান্সি পেলোসির এ সফরকে কেন্দ্র করো আমেরিকা-চীন বৈরিতা এখন তুঙ্গে। চীনের পর পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তাইওয়ান যাবেন কি না, সেটা শেষ পর্যন্ত পেলোসিই ঠিক করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফরকে ঘিরে চীন যেন কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি না করে। পেলোসির তাইওয়ান সফরের অধিকার আছে।
হোয়াইট হাউস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, পেলোসি তাইওয়ান যাচ্ছেন বলে চীন উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে, এটা হতে পারে না। তারা চীনকে সুর নরম করার পরামর্শ দিয়েছে।
এর আগে গত রবিবার (৩১ জুলাই) হাওয়াই দ্বীপ পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে পেলোসির চারদিনব্যাপী এশিয়া সফর শুরু হয়। তবে তার সফরসূচিতে তাইওয়ান সফরের বিষয়টি উল্লেখ ছিল না। যদিও তার তাইওয়ান সফরের পরিকল্পনা কয়েকসপ্তাহ ধরেই গুঞ্জন চলছিল।
সফর সূচি অনুযায়ী, সোমবার (১ আগস্ট) সিঙ্গাপুরে যান। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সফর করেন মালয়েশিয়া। এরপর সেখান থেকে তাইওয়ানের উদ্দেশে রওনা হন।
পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে চীনকে ‘বাড়াবাড়ি’ না করার জন্য হুশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। একই সঙ্গে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে তাইওয়ানের কাছেই একটি বিমানবাহী রণতরীসহ অন্তত চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন জানায়, ন্যান্সি পেলোসি তার চলমান এশিয়া সফরে যদি তাইওয়ানে আসেন, তাহলে তা এই অঞ্চলে অশান্তি উস্কে দিতে পারে।