আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য, সাবেক ধর্মমন্ত্রী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান আর নেই। রবিবার (১৭ আগস্ট) রাত ১১ টায় ময়মনসিংহ শহরের নেক্সাস কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহকে মুক্ত ঘোষণা করা হয়। তিনি দীর্ঘ সময় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ধর্মমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালে তিনি ময়মনসিংহ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ছাত্রজীবন থেকেই মতিউর রহমান ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে রাজনীতির পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ময়মনসিংহের আলমগীর মনসুর মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধে ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অকৃত্রিম অবদানের জন্য অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু পদক ও ২০২২ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও শিক্ষা বিস্তারে মতিউর রহমানের অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মতিউর রহমান ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা। শত প্রলোভনের মুখে এবং বারবার কারাবরণ করা সত্ত্বেও সারাজীবন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রতি অবিচল থেকে তিনি সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তিন দশকের বেশি সময় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বদানকারী এই নেতা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষক ও সফল সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন।