ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন নিজাম মীরবহরের বিরুদ্ধে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ এবং চাঁদা চাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে জেলা বিএনপি।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে কাঠালিয়া যুবদলের আমুয়া ইউনিয়ন সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকেই একাধিক অভিযোগ প্রেরন করে। এরই ধারাবাহিকতায় দেয়া গতকাল ৫ এপ্রিল বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে নিজাম মীরবহরকে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নিজাম মীরবহর দলীয় দায়িত্বশীল পদে থেকে শৃংখলা পরিপন্থি কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্তের অভিযোগ উঠেছে। ফ্যাসিষ্ট হাসিনা পতনের আন্দোলনে দলের ত্যাগী নেতা সুমন খলিফা যিনি নির্যাতন ও একাধিক মিথ্যা গায়েবি মামলার আসামী হন। তাকে স্বৈরাচার হাসিনা পতনের পর আওয়ামী দোষরদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার আসামী করা হয়েছে। কারণ সুমন খলিফার কাছে আপনি নিজাম মীরবহর ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে তাকে আওয়ামী দোষরদের সাথে আসামী করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আপনি তৎকালিন আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। যা একটি অডিও ক্লিপের মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ভোট দিতে বলেছেন এবং আপনি নিজেও তার পক্ষে কাজ করেছেন বলে জানা যায়। একই সাথে সুমন খলিফার কাছে দাবি করা চাঁদা না পেয়ে এবং আগামীতে সে আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হবার ঘোষণা দেয়ায় তাকে স্বৈরাচার বিরোধী মামলার আসামী করিয়েছেন। যাতে তাকে আওয়ামী ঘরনার ব্যক্তি বানানো যায়। একই সাথে আপনাকে নিয়ে পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায়ও দলীয় ভাবমূর্তি চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না জানতে চেয়ে নিজাম মীরবহরকে ৩ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে নিজাম মীরবহর বলেন, আমাদের কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপি অফিস যে বা যারা শাহজাহান ওমরের নির্দেশে ভাংচুর করেছে তাদেরকেই আসামী করা হয়েছে। তার মধ্যে সুমন খলিফা অন্যতম। তাই ঐ মামলায় শাহজাহান ওমরও আসামী। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সাথে আতাত করে কোটি কোটি টাকার কাজ করেছে সুমন। যে কাজ এখনো চলমান মাঠে। তাছাড়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাদাৎ সাহেবকে কেন্দ্রীয় কমিটি আমার বিষয়ে কোন তদন্ত বা ব্যবস্থা নিতে বলেনি। সদস্য সচিবের উচিত ছিল এখানে এসে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করা।