সারাদেশে চাঁদাবাজি ও মব জাস্টিস করে ঢাকার মিডফোর্ট হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের পদ্মা সেতু টোল প্লাজা অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় যুব শক্তি ও শরীয়তপুরের সাধারণ জনগণ।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে এ অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে এই রুটে সকল যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, চাঁদা না দেওয়ার কারণে ব্যবসায়ীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় পাথর মেরে হত্যা করেছেন যুবদল নেতাকর্মীরা। এতেই শেষ নয়, যাত্রাবাড়ী এলাকায় শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস নামক পরিবহনের থেকে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা ব্যক্তিও যুবদলেরই নেতা। দিনে দিনে এই দৌরাত্ম্য বাড়ছে। এর ফল ভালো নয়৷ দেশবাসীকে এক হয়ে এটি প্রতিরোধ করতে হবে।
এ ছাড়াও দেশজুড়ে মব জাস্টিসের বিরুদ্ধেও কথা বলেন ছাত্র-জনতা।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শরীয়তপুরের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, দেশে যে মব জাস্টিস শুরু হয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে মধ্যযুগীয় কায়দায় মানুষ হত্যা করা হয়েছে। চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে এমন মব জাস্টিস ও চাঁদাবাজি চলতে পারে না। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে পদ্মা সেতু টোল প্লাজা অবরোধ করেছি। যদি এসব বন্ধ করা না হয় ও দোষীদের আইনের আওতায় আনা না হয়, তবে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, আজ এই ব্লকেড বা অবরোধ এসব ট্রেইলার মাত্র। যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাঁদাবাজ ও ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা না হয়, তাহলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে। সাধারণ জনগণ যদি শান্তিতে না থাকে, তাহলে আমরাও কাউকে শান্তিতে থাকতে দেব না।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসাইন বলেন, সম্প্রতি মিডফোর্ড এলাকার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও পদ্মা সেতু ভাঙন কবলিত এলাকায় স্থায়ী বাঁধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে। খবর পাওয়ামাত্র আমরা ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি। তারাও আমাদের কথা শুনে শান্তি পূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করেছে।