চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজের দুইদিন পর আকাশ (৩০) নামে এক হোটেল শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
গত ১ এপ্রিল দুপুরে জেলার সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের পাশের দরগা পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছিল। নিহত আকাশ ঝিলিম ইউনিয়নের আমনুরা বালিকা পাড়ার মৃত আয়নাল হকের ছেলে।
মৃতদেহ উদ্ধারের মাস পেরিয়ে গেলেও এটি হত্যা না আত্মহত্যা প্রকাশ পায়নি আসল রহস্য। তবে আকাশের পরিবারের পক্ষে অভিযোগের তীর এস আই শাহিনুর শাহীন ও হোটেল মালিক মো. মোনতাজের বিরুদ্ধে।
নিহতের বড় ভাই অসীম জানান, রবিবার (৩০ মার্চ) রাতে মোনতাজের হোটেলের কাজ শেষ করে ঈদের বাজার নিয়ে বাড়ি আসবে বলে ফোনে পরিবারের সাথে কথা হয়। কিন্তু রাতে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরেরদিন সকালে ৩১ মার্চ মোনতাজের কাছে আমার ছোট ভাইয়ের খোঁজ নিতে গেলে সে বলে, তোমার ভাই রাতে নেশা করে মাতাল অবস্থায় এসে টাকা নিয়ে ঝামেলা করে তাই তাকে ২/৩ থাপ্পড় মেরে দোকান থেকে বের করে দিয়েছি। মোনতাজের কথা শুনে আমরা এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করি।
নিহতের মা মোসা রোমেসা বেগম বলেন, মোনতাজের কথা শুনে আমার ছেলেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে আমি ও আমার ছেলের বউ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা যাই, সেখান থেকে আমাদেরকে ঝিলিমের ফারিতে এস আই শাহীনের কাছে পাঠায়। সেখানে এস আই শাহীনকে আমার ছেলেকে খোজার কথা বললে সে আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চায় এবং বলে দেখো গিয়ে কোনো পুকুরে তোমার ছেলের লাশ পড়ে আছে।
অভিযোগের বিষয়ে এস আই শাহীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব মিথ্যা। আমি তাদের কাছে কোনো টাকা চাইনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুরতাজ হোটেলের মালিক মোনতাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি,অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমার বংশে ১০/১২ জন সাংবাদিক আছে, আমি এই বিষয়ে নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না,আমি অন্যায় করিনি।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মতিউর রহমান জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলেই এ ঘটনার আসল কারণ বোঝা যাবে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।