নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাওয়া ঘাটে ফেরি আছে থাকবে, চাহিদা অনুযায়ী চলবে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর চালুর কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেইনি, সেখানে ছয়টি ফেরি চাহিদা অনুযায়ী পারপার করছে।
মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সকল দপ্তর/সংস্থার ২০২২-২৩ সালের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর ও ২০২১-২২ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এই সব কথা বলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ স্থাপনা পদ্মা সেতু। তারমানে এই নয় আমাদের অন্যান্য যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। সোমবারও আমাদের শিমুলিয়া, মাঝিঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল করেছে। আমাদের যেভাবে চাহিদা থাকবে সেভাবে ব্যবহার করবো। আমরা ফেরি বন্ধ করে দেইনি, সেখানে ছয়টি ফেরি চাহিদা অনুযায়ী পারপার করছে। আমরা সময় নিচ্ছি, পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের আবেগ অনেকভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। পজিটিভ নেগেটিভ অনেক অনুভূতি আছে।
তিনি বলেন, একজন নেত্রী বলেছিলেন জোড়াতালির সেতু, সেভাবে একজন বল্টু খুলেলো। এটা ছিল সেতুর অলঙ্কার, কেউ সেই অলঙ্কার ছিনতাই করার চেষ্টা করেছে। অসচেতন নেতৃত্বের কারণে এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। কিছু মানুষ চোরের সরকারকে ফলো করে, সেটিই ঘটেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে সেতু হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সংযুক্ত করে দেবেন। সেটি প্রধানমন্ত্রী করে দিয়েছেন। সারাদেশে রেল হচ্ছে, বিমান যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে। আমরা ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। তার মানে আমরা নৌপথ নিয়ে ভাবছি। নৌপথ আন্তর্জাতিকভাবে সংযুক্ত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ভারত ও ভূটান এবং মায়ানমারসহ সবদিকেই সংযুক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাদের নৌপথের আরও উন্নতি হবে, সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। যে ব্রিজগুলো করা হচ্ছে সেটি ওয়াটার নেভিগেশন ঠিক রেখেই করা হচ্ছে। নৌপথ চলবে, আকাশ পথও বৃদ্ধি পাবে, সড়ক পথও স্মুথ হবে এবং রেললাইন ৬৪ জেলা যুক্ত হয়ে যাবে।