সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চুরির অভিযোগে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয়রা। পরে চুরির দায় স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের একজন নেতা।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত যুবকের নাম ইছা মিয়া (৩৫)। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার রাতের কোনো এক সময় গ্রামের হাজী এম এ জাহের উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রহিম মিয়ার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে সন্দেহের ভিত্তিতে ইছা মিয়াকে ধরে আনেন কয়েকজন যুবক। এরপর দোকানের পাশেই খুঁটিতে বেঁধে তাকে মারধর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, মারধরের একপর্যায়ে ইছা মিয়া চুরির দায় স্বীকার করেন এবং চুরি হওয়া কিছু মালামালও তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে তার পরিবারের কেউ ঘটনাস্থলে আসেননি। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য রোপন মিয়াসহ কয়েকজন মুরব্বিকে ডেকে এনে গ্রাম্য সালিসে মুচলেকা রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রোপন মিয়া বলেন, ইছার বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই চুরির অভিযোগ রয়েছে। এবার হাতেনাতে ধরা পড়েছে। চুরির কথা স্বীকারও করেছে, কিছু মালও বের করেছে। এলাকার লোকজনের মত নিয়ে তাকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।