শরীয়তপুর প্রতিনিধি: ভেদরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় দশম শ্রেণির ছাত্র ইয়াসিন মৃধা (১৪)। পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরিবার বলছে, ইয়াসিন রাজনীতির সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিল না।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ঢাকা রাজধানীর মগবাজারের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ইয়াসিন মৃধা ভেদরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হানিফ মৃধার ছেলে ও স্থানীয় একটি মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তবে তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন কি না বিষয়টি এখনো জানা যায় নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দু’টি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাত ৮টার দিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় সংঘর্ষে লাঠিসোঁটা, রড এবং দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
এতে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাকিম, কনস্টেবল জাহিদ ও ইয়াসিনসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে ইয়াসিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ৫ দিন চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ইয়াসিনের চাচি শামসুন্নাহার বলেন, ইয়াসিন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। ও রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। যারা পরিকল্পিতভাবে ইয়াসিনকে হত্যা করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ আহম্মেদ সেলিম বলেন, গত বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এই সংঘর্ষ হয়েছে। শুনেছি ঢাকায় চিকিৎসা ধীন অবস্থায় এ ঘটনায় আহত ইয়াছিন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো অভিযোগ পায় নি। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মো. আল-আমিন